AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Extortion: তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নদী ড্রেজিং সংস্থার! অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের

রাজ্য সরকারের ওয়েষ্ট বেঙ্গল মিনারেল অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছ থেকে ঠিকা পেয়েছে ওই সংস্থাটি। হীরাপুরের কালাঝরিয়া সংলগ্ন এলাকায় ওই কাজ চলছে। কিন্তু তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে সংস্থার ম্যানেজার অনু শর্মা অভিযোগ করেছেন।

Extortion: তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নদী ড্রেজিং সংস্থার! অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের
তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে ঠিকা সংস্থার মেশিন
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 9:55 AM
Share

আসানসোল: জোর করে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। নদী ড্রেজিং করে বালি তোলার কাজের দায়িত্বে থাকা কলকাতার এক সংস্থা হীরাপুর থানায় এই অভিযোগ জানিয়েছেন। কালাঝরিয়া এলাকর সাত জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই সাত জনই তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক। তোলা না মেলায় নদীঘাট থেকে জেসিবি মেশিন তুলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রেখে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি বালি তোলা ও ড্রেজিং প্রক্রিয়ায়ও বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, নাব্যতা বাড়াতে রাজ্য সরকার দামোদর নদ ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজটি পেয়েছে কলকাতার বেসরকারি ঠিকা সংস্থা। রাজ্য সরকারের ওয়েষ্ট বেঙ্গল মিনারেল অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছ থেকে ঠিকা পেয়েছে ওই সংস্থাটি। হীরাপুরের কালাঝরিয়া সংলগ্ন এলাকায় ওই কাজ চলছে। কিন্তু তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে সংস্থার ম্যানেজার অনু শর্মা অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, দু থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত তোলা চাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, তোলা না দেওয়ায় সংস্থার লোকজনেদের মারধর করা হচ্ছে। মেশিন তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের একাংশকে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রেজিং করে যে বিপুল বালি উঠছে তা লরিতে করে পরিবহণ করার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। কখনও রাস্তায় মধ্যে ছোট থেকে বয়স্ক বাসিন্দারা লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তুলছে। কখনও রাস্তার ওপর বাঁশ ফেলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সরকারি কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজিং করার নামে বালি লুট হচ্ছে। গ্রামের রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে বালি বোঝাই লরি যাতায়াতের জন্য। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।

ওই সংস্থার দাবি, বর্ষার সময় বালুচরের এই ড্রেজিং করার কাজ বন্ধ করা যায় না। শহরের বন্যা পরিস্থিতি রোধ করা ও নদীর গতিপথ স্বাভাবিক রাখার জন্যই ড্রেজিং এর কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সরকারি কাজে বাধা দেবার অভিযোগ উঠেছে সাতজনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূল নেতা সহদেব লায়েক। সহদেববাবু তোলা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাজও বন্ধ করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের  পাল্টা দাবি, বালির গাড়িতে এলাকার রাস্তা বেহাল হচ্ছে। ওই সংস্থাকে বারবার রাস্তা মেরামতের কথা বলেও লাভ হচ্ছে না। নদীত যতটা খনন করার কথা, তার থেকে বেশি খনন হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।

ঘটনা নিয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “রাজ্য সরকারের সংস্থা নদীতে বালি তুলেছে আর তৃণমূলের কর্মীরাই সেই কাজ আটকে দিচ্ছে। তোলাবাজির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁর কটাক্ষ দলটার নাম তৃণমূল নয় তোলামূল হয়ে গিয়েছে।“