আসানসোল : উপনির্বাচনের (Asansol Bi Election) দিন যত এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হচ্ছে আসানসোলের রাজনীতির বাতাবরণ। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। লড়াই ছাড়া কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। এরই মধ্যে বুধবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Shatrughan Sinha) হয়ে কর্মিসভা করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সেখান থেকেই নাম না করে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে (Agnimitra Paul) বক্রোক্তি করলেন কল্যাণ। বললেন, “বিরাট বড় একটা লাল টিপ পরে শুধু ঝগড়া করছে। কোথায় কীভাবে লড়াই করবেন, সেটাই করে যাচ্ছেন। আর কিছু করেননি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে বলেন, “অনেক জায়গায় লেখা আছে আসানসোলে আসানসোলের মেয়েকে চায়। ভাল কথা। কিন্তু ২০২১ সালের মে মাসের পর থেকে কেন আসানসোল আসানসোলের মেয়েকে দেখতে পেল না? সেই প্রশ্নের উত্তর দিন তো। একটা দুয়ারে সরকারের প্রকল্পের মত ক্যাম্পেও দেখা যায়নি ওনাকে।” কোনও পুজোতে, কোনও কিছুতেই কেন আসানসোল দক্ষিণের মানুষ তাঁকে দেখতে পেলেন না, প্রশ্ন তোলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, “বিরাট বড় লাল টিপ পরে শুধু ঝগড়া করে যাচ্ছেন তিনি। কীভাবে লড়াই করবেন তাই করছেন। শুধু টিভিতে দেখা যাচ্ছে।”
তৃণমূল সাংসদের দাবি, একদিনের জন্যও আসানসোলের মেয়েকে আসানসোল দক্ষিণের মানুষ দেখেননি। এদিকে বুধবারের কর্মিসভা শেষে এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওনাকে আসানসোলে দেখা যায় না। জেতার পর উনি আসেননি।” এরপরই প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি উনি আসানসোলের মেয়ে নন? এই বিষয়ে অবশ্য কল্যাণবাবু মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, “আমি ব্যক্তিগত বিষয়ে যাব না। মুখ খুললে অনেকের অসুবিধা হয়ে যাবে।”
এদিকে তৃণমূল সাংসদের এই কটাক্ষের পাল্টা দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পালও। তাঁর দাবি, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে বাংলা মহিলাদের নিয়ে অসম্মানজনক কথা বলেছেন। কারও নূপূর নিয়ে কথা বলেছেন। কারও অন্য কিছু নিয়ে। টিএমসি নেতৃত্ব বাঙালি মহিলাদের অপমান করেন, তখন নীচুতলার কর্মীরাও উৎসাহিত হয়। ধর্ষণ বাড়ে বাংলায়। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমি আসানসোল দক্ষিণে থাকি, নাকি থাকি না। ওনাকে জবাব দেব না। আমার বিধানসভার ভোটারদের সেই জবাব দেব।”
আরও পড়ুন : Health Commission: স্বাস্থ্য কমিশনের এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে! মামলা একাধিক নামী বেসরকারি হাসপাতালের