Kharagpur IIT Student Death Case: দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ‘চুপ’, IIT খড়গপুরের ছাত্র মৃত্যুতে আদালত অবমাননার অভিযোগ
Kharagpur IIT Student Death Case: ২৫ এপ্রিল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অসম পুলিশের সহায়তা নিয়ে কবরে রাখা মৃত ছাত্রের দেহ তুলতে হবে। এবং তা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পুলিশ এখনও অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি।
খড়্গপুর: আইআইটি খড়গপুরের মৃত ছাত্র ফাইজন আহমেদের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে। ২৫ এপ্রিল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অসম পুলিশের সহায়তা নিয়ে কবরে রাখা মৃত ছাত্রের দেহ তুলতে হবে। এবং তা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পুলিশ এখনও অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, মৃতের পরিবার হাইকোর্টের নির্দেশ দেখালেও অসম পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ যোগাযোগ না করায় তারা কিছু করতে পারছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। শুক্রবার আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি।
আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে গত ২৫ এপ্রিলই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, ফাইজন আহমেদের দেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে হবে। হাইকোর্ট তার আগে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন চিকিৎসক অজয় গুপ্তা। চিকিৎসক অজয় গুপ্তর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কিছু বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ময়না তদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টেও উল্লেখ ছিল, হাতে কেটে দিয়ে আত্মহত্যার দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
রাজ্যের আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য এদিন আদালতে সওয়াল করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দেওয়া ২০২২ সালের ২১ নভেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আইও অর্থাৎ তদন্তকারী অফিসার কিছু ওষুধ উদ্ধার করেন। সেই ওষুধগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই ওষুধগুলো মূলত মাংস যাতে পচে না যায়, তার জন্য ব্যবহার হয়। বিষ হিসাবে ব্যবহার হয়।
রিপোর্টে নতুন করে দেহ তুলে নতুন করে ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটি প্রশ্ন তোলে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কীভাবে ভারী বস্তুর আঘাতের কথা উল্লেখ না থাকতে পারে? কারণ মাথার পিছনে ‘হেমাটোমা’ অর্থাৎ রক্ত জমাটের চিহ্ন স্পষ্ট। তিনি দাবি করেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঠিক নেই।
বিচারপতি মান্থা এরপরই মন্তব্য করেন, ত্রুটিপূর্ণ ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাই দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য সেই ছাত্রের দেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন বিচারপতি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের পুলিশ একেবারেই অসম পুলিশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। ফলে এখনও দেহ কবর থেকে তোলার ব্যাপারে কোনও সক্রিয় পদক্ষেপই করা হয়নি। পরিবারের তরফ থেকে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়।