আসানসোল: মঙ্গলবার পুরভোটে লাগাতার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগে উল্টো হেঁটে বিজেপি জেলাশাসকের অফিসে অভিযান চালায়। পুলিশ বাধা দিলে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে তৈরি হয় বাকবিতণ্ডা ও বচসা। সেই খবর সম্প্রচারের পর আসরে নামেন রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “সামান্য কম বেশি হলেও দশ মিনিট ছাপ্পা ভোট হতে পারে, আর তাতে প্রভাব পড়ে না।” সরকার চলছে উল্টো পথে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সেই কারণে এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা জেলা শাসকের অফিসে অভিযান চালায়। জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা। খবর কানে যাওয়ার পরই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তাপস।
কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?
এদিন তিনি বলেন, “একটা বুথ কেন্দ্রে অশান্তি হতে পারে। দু-একটা ফলস ভোট হতে পারে। অতীতেও হয়েছে দু’এক জায়গায়। সামান্য কম বেশি হলে দশ মিনিট ছাপ্পা ভোট হতে পারে। ক্যালকুলেশন করে দেখুন না কত ভোট পড়তে পারে। এক ঘণ্টার যদি ছাপ্পা হয় কটা ভোট পড়তে পারে ? ৫০ টা ৬০ টার বেশি কখনই পড়বে না। যেগুলোতে এত-এত মার্জিনে আমাদের প্রার্থীরা জিতেছে সেগুলো কী করে বলবেন ভোটে ছাপ্পা মেরেছে ? এগুলো স্পোর্টিংলি নেওয়া উচিত। বিজেপির এসব শিশুসুলভ আন্দোলন।” এখানেই শেষ নয়, এরপর বলেন, ” ইলেকশন কমিশনের সার্টিফিকেট দেওয়ার পর মামলা মোকদ্দমা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে। আজ পর্যন্ত কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।”
তাপর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বলেন, “তাপস দাকে মনে করিয়ে দিতে চাই। সিপিএমের সময় যখন উনি প্রথম জামুড়িয়া বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিলেন। তখন কী ধরণের ভোট হয়েছিল। তখন কি ভোট অবাধ হয়েছিল ? তখন কি একটা দুটো ভোটে ছাপ্পা হয়েছিল ? তখন তো উনি কংগ্রেসে ছিলেন। তখন কি কংগ্রেসের হয়ে উনি প্রচার করতে পেরেছিলেন। জামুড়িয়াতে উনি যে পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন তখন যা পরিস্থিতি ছিল এখন পরিস্থিতি তার থেকেও ভয়ঙ্কর। একটা দলে আছেন উনি। তা বলে অন্যায়কে এভাবে জাস্টিফাই করা উচিত হচ্ছে না।”
আরও পড়ুন: Duare Sarkar: দুয়ারে সরকারে কাজ করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, স্কুলের দুয়ারে তাহলে কারা?