Fake Army: ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকে শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেম, নিজেকে সেনা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, অভিষেকের কীর্তিতে এখন স্তম্ভিত পুলিশও
Durgapur: জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে একটি মেট্রিমনিয়াল সাইটে দুর্গাপুরের বাসিন্দা এক শিক্ষিকার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ায় ওই যুবক। শিক্ষিকাকে তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন।

হুগলি: কখনও NIA আধিকারিক, কখনও সেনা জওয়ান, কখনও বা আধা সেনা…কোথায় কখন কী পরিচয় দিয়েছিলেন হয়ত নিজেরও মনে নেই! পুলিশের জালে এবার ধরা পড়ল সেই ব্যক্তি। এক শিক্ষিকার সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অভিযুক্তর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে এয়ারগান, বহু জাল নথি,জাল আই কার্ড।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম অভিষেক মুখোপাধ্যায়। তিনি হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ধৃতকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা।
ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নিজেকে কখনও সেনা জওয়ানের পরিচয় দিয়েছেন, কখনও এনআই (NIA)-এর আধিকারিকের পরিচয় দিয়েছেন, আবার কখনও প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে একটি মেট্রিমনিয়াল সাইটে দুর্গাপুরের বাসিন্দা এক শিক্ষিকার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ায় ওই যুবক। শিক্ষিকাকে তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন। তারপরেই তাঁর সঙ্গে ঘোরাঘুরি এবং বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়। অভিষেক বিয়ের প্রস্তাব দেন শিক্ষিকাকেও বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ওই যুবকের কথাবার্তায় এবং কাজকর্মে সন্দেহ হওয়ায় শিক্ষিকার মা-বাবা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
কিন্তু মা বাবার কথা না মেনেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন ওই শিক্ষিকা। তারপরেই জানা যায় ওই যুবকের পরিচয় আদতে নকল। আকাশ ভেঙে পড়ে মাথায়। পরবর্তীতে শিক্ষিকার বাবা-মা দুর্গাপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে। তারই মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে দুর্গাপুরের একটি হোটেলে ছিল ওই যুবক। সোমবার অভিষেককে ডেকে পাঠায় দুর্গাপুর থানার সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ। সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীর নথিপত্র এবং পরিচয় পত্র দেখতে চাওয়া হয়। সেগুলি দেখাতে না পারায় অভিষেককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃতকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও একজন গাড়ির চালক জড়িত আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে জেরা করে এই চক্র কতদূর ছড়িয়েছে সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অভিষেক গুপ্তা ।





