Panagarh case: বর্ধমানে হানা দিতেই পুলিশের হাতে নতুন সূত্র, পানাগড়কাণ্ডে আটক সাদা গাড়ির মালিক
Panagarh case: সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার, একইসঙ্গে নৃত্যশিল্পী। বাড়ি হুগলির চনন্দননগরে। পরিবার সূত্রে খবর, কর্মসূত্রেই তিনি পানাগড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দুর্গাপুর: ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল পরিবারের অন্দরে। শেষ পর্যন্ত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় মৃত্যুর ঘটনায় আটক এক। ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আটক বাবুল যাদব নামে এক অভিযুক্ত। তাঁকে কাঁকসা থানার পুলিশ বর্ধমান থেকে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং পুরনো জিটি রোডের সংযোগস্থলের কাছে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান সুতন্দ্রা। প্রাথমিকভাবে জানা যায় গাড়ি উল্টে প্রাণ গিয়েছে সুতন্দ্রার। রেষারেষির কারণেই এ ঘটনা। যদিও সুতন্দ্রার সঙ্গীদের দাবি ছিল তাঁদের একটি সাদা গাড়ি ধাওয়া করছিল। ‘টার্গেট’ করা হয়েছিল সুতন্দ্রাকে।
সূত্রের খবর, বাবলু যাদব নামে যে ব্যক্তিকে পুলিশ ধরেছে সেই ওই সাদা গাড়িটি চালাচ্ছিল। সেই ওই গাড়ির মালিক। বাবলু ছাড়াও গাড়িতে ছিল আরও চার জন। এই চার জনই ছিল বাবলুর কর্মচারী বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আসলে ঠিক কী ঘটেছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে।
সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার, একইসঙ্গে নৃত্যশিল্পী। বাড়ি হুগলির চনন্দননগরে। পরিবার সূত্রে খবর, কাজের সূত্রেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতেই এ ঘটনা ঘটে। সুতন্দ্রার সঙ্গীদের অভিযোগ, সাদা গাড়ির আরোহীদের টার্গেট ছিলেন সুতন্দ্রাই। তাঁকে উদ্দেশ্য করে নানা অশালীন ইঙ্গিতও করা হয়েছে। নানাভাবে উদ্যক্ত করারও চেষ্টা চলে। এখন ধৃতকে জেরা করে পুলিশের হাতে নতুন কী তথ্য আসে সেটাই দেখার।
