Asansol: সুপ্রিম রায় চাকরি গিয়েছে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই, জটিল ব্যধিতে হায়দরবাদে চিকিৎসাধীন চার বছরের শিশুকন্যা
Asansol: কর্মসূত্রে দমাহানিতে ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন। বাড়ি ভাড়াও ৬ হাজার টাকা। একমাত্র কন্যা সন্তানের বয়স চার বছর। হায়দরাবাদে চিকিৎসারত। গরুর দুধে এলার্জির জন্য কোলনে আলসার!

আসানসোল: চাকরি গেছে স্বামী-স্ত্রী দুজনের। বাড়িতে চার বছরের দুররোগ্য ব্যধির কন্যা সন্তান। বাড়িতে দুজনের অসুস্থ বাবা ও মা। এই পরিস্থিতিতে দিশাহারা উজ্জ্বল কেশ ও সোমা কেশ। একজন বারাবনির দমাহানি কেলেজোড়া বয়েজ হাই স্কুলের কেমিস্ট্রি শিক্ষক, অন্যজন বারাবনির দমাহানি কেলেজোড়া গার্লস হাই স্কুলের জিওগ্রাফি শিক্ষিকা। দুজনের বাড়ি বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের দিঘল গ্রামে।
কর্মসূত্রে দমাহানিতে ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন। বাড়ি ভাড়াও ৬ হাজার টাকা। একমাত্র কন্যা সন্তানের বয়স চার বছর। হায়দরাবাদে চিকিৎসারত। গরুর দুধে এলার্জির জন্য কোলনে আলসার! ইতিমধ্যে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। প্রতি মাসে ডাক্তার ভিসিট, বিশেষ চাইল্ড ফুড ও মেডিসিনের জন্য খরচ ২০ হাজার টাকা। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারা হয়ে ভেঙে পড়েছেন দুজনে। দুজনেই মেধাবী।
নিজ নিজ স্কুলে ছিলেন ফার্স্ট বয় ও ফার্স্ট গার্ল। উজ্জ্বল এসএসসির আওতায় তিনটে চাকরি পেয়েছিলেন। প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি ও নবম দশম শ্রেণির চাকরি পেয়েছিলেন, এমনকি রেলের গ্ৰুপ ডি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। স্ত্রী সোমা কেশ চাকরি পেয়েছিলেন প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, ও নবম দশম। বার বার তাঁরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কিছুতেই মানতে পারছেন না।
তাঁদের একটাই দাবি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। এবার একটাই লড়াই আন্দোলনের মাধ্যমে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করাতে বাধ্য করা। পুলিশের লাঠি লাথির তীব্র নিন্দা করেছেন দুজনে। উজ্জ্বল বললেন, “একে আমাদের মনে গভীর ক্ষত, তারপর শরীরেও। কী আর পাওয়ার থাকতে পারে, যোগ্য তালিকাটা প্রকাশ করলেই হাজার হাজার যোগ্যরা বেঁচে যাবেন। আমরা বাচ্চাকে কীভাবে খাওয়াব। আমরা তো খুবই সাধারণ, আমরা তো সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে, রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সঙ্গে পেরে উঠব না।”
