Suvendu Adhikari: ‘লন্ডন থেকে ভবানীপুরে টেমস এনেছেন মাননীয়া’, জলযন্ত্রণায় মমতাকে তোপ শুভেন্দুর!

Bengal Flood: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুরে বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবি প্রিয়াঙ্কা টিবরেয়াল। তৃণমূলের তরফে লড়বেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রীজীব বিশ্বাস।

Suvendu Adhikari: 'লন্ডন থেকে ভবানীপুরে টেমস এনেছেন মাননীয়া', জলযন্ত্রণায় মমতাকে তোপ শুভেন্দুর!
ফের মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথ, ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 10:43 PM

পশ্চিম বর্ধমান: ভাদ্র ধারাপাতের জেরে প্রায় বানভাসি অবস্থা বঙ্গে। সেই পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ হিসেবে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকারান্তরে দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আসন্ন উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এদিন মমতাকে (Mamata Banerjee) তীব্র কটাক্ষ করেন অধিকারী পুত্র।

বিজেপির দলীয় কর্মীসভা থেকে এদিন শুভেন্দু বলেন, “মাননীয়া লন্ডন করবেন বলেছিলেন। লন্ডন গড়ার আগেই টেমস নদীকে এখানে নিয়ে এসেছেন। সকলকে অনুরোধ করব আগামী ৩০ তারিখ উপনির্বাচনের দিন সকলে একটা করে বাড়ির সামনে নৌকা রাখবেন। সেই নৌকা করে টেমস নদী বেয়ে বুথে যাবেন। বাংলাকে লন্ডন বানানোর অঙ্গীকার নেবেন।”

উল্লেখ্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুরে বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবি প্রিয়াঙ্কা টিবরেয়াল। তৃণমূলের তরফে লড়বেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। কিন্তু, ভাদ্রের কলকাতায় প্রচারে ব্যঘাত হেনেছে জলযন্ত্রণা। সোমবার দেখা গিয়েছে অতিবৃষ্টির জেরে খোদ সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির সামনেও হাঁটু জল। কেন বৃষ্টি হলেই এভাবে জলযন্ত্রণায় ভুগতে হবে রাজ্যবাসীকে তা নিয়ে সরব বিরোধী শিবির।

অন্যদিকে, জলযন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই ভবানীপুরে প্রচার সারছে  রাজনৈতিক দলগুলি। সোমবারই সামনে এসেছে এসএসকেএমের জলমগ্ন প্রসূতি ওয়ার্ডের ছবি। যা নিয়ে টুইটে খোঁচা  অমিত মালব্যর। এদিন, টুইটে অমিত মালব্য একটি ছবি শেয়ার করেন। সেই ছবিটি এসএসকেএম হাসপাতালের বলেই দাবি এই বিজেপি নেতার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জল থইথই একটি ঘর। সেখানে হাসপাতালের বেড রয়েছে। বেশ কয়েকজন মহিলা একই সঙ্গে ওই বেডের উপর বসে রয়েছেন। ঘরের জল প্রায় হাঁটু সমান। এই ছবিটির ক্যাপশনেই অমিত লেখেন, ‘যখন বাংলার একজন ভোটে হেরে যাওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর। তখন এসএসকেএম হাসপাতালের ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে বাংলার মায়েদের এমন দুর্ভোগ। এই হাসপাতাল ভবানীপুরেই অবস্থিত। গত ১০ বছর ধরেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র সামলাতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

ভারী বৃষ্টি হলেই এসএসকেএম হাসপাতালে জলযন্ত্রণার চিত্রটা প্রকট হয়ে ওঠে। এর আগেও একাধিকবার এরকম অভিযোগ উঠেছে। টানা বৃষ্টি হলেই গাইনেকোলজি ব্লকের ম্যাটারনিটি ওয়ার্ড, বহির্বিভাগ ও মেইন ব্লকের এক তলায় জলমগ্ন হয়ে পড়ার নমুনা আগেও দেখা গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য পুরনো দাবি, হরিশ মুখার্জি রোডে ওই জল যাওয়ার জন্য যে পিটগুলি রয়েছে, ভারী বৃষ্টি হলে তা পরিষ্কার করেও লাভ হয় না। পাম্পিং স্টেশনগুলি জল টানতে না পারায় এই সমস্যা হয়।

রবিবার রাতভর যে পরিমাণ বৃষ্টি শহর কলকাতায় হয়েছে তাতে এমন অবস্থা হওয়া যে ভবিতব্য তেমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী। শহরের লকগেটগুলি বন্ধ। ফলে জল নিকাশির কোনও পথই খোলা নেই। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিং জানিয়েছেন, ” শহরের নালাগুলি টইটম্বুর। উপচে পড়ছে জল। লকগেট বন্ধ। এটা না খুললে তো জল নামবে না। ড্রেনেজের জল যে খালে পড়ে তাও ভর্তি। আমাদের সিস্টেম নেটওয়ার্ক পুরো কাজ করছে। ৭৬টা পাম্পিং স্টেশন চলছে। ৪০৮টা পাম্প রয়েছে। যত গুলো পাম্প চালানোর প্রয়োজন রয়েছে সেগুলি সব চলছে। সাড়ে ৪০০ পোর্টেবল পাম্প বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তুত। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে যেখানে গিয়ে নিকাশী জল পড়বে সেই খালই তো ভর্তি।”

আরও পড়ুন: Dev: ‘বাবুলদা আজ আমাদের দলে, কাল…’, বলেই থামলেন তারকা-সাংসদ!

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: জল্পনায় জল, শুভেন্দুর সঙ্গে কর্মিসভায় জিতেন্দ্র, নির্বাচনে লড়তে চ্যালেঞ্জ বাবুলকে