Murder: সাতসকালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড মেমারিতে! রাস্তায় পড়ে মা-বাবার গলা কাটা দেহ, বাড়িতে ঢুকে খোঁজ পাওয়া গেল না ছেলের
Murder: দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘরে খুন করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। তারপর টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে আসে আততায়ী।

মেমারি: গলার নলি কাটা। গলগল করে বের হচ্ছে রক্ত। নিথর দু’টি দেহ পড়ে আছে বাড়ির সামনের রাস্তায়। বুধবার সকালে এমনই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দারা। মেমারি শহরের কাশিয়ারা কাজিপাড়ার ঘটনা। যে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে। মৃত্যু হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান(৬৬) ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ পারভিন(৫৬)। খবর চাউর হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুস্তাফিজুর ও মমতাজের বাড়িতে এক ছেলে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে হুমায়ুন কবীর সিদ্দিকী নামে ওই যুবকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়র। দিল্লিতে একটি সংস্থায় কর্মরত। বাড়ির অবস্থাও রীতিমতো অবস্থাপন্ন। সূত্রের খবর, দিল্লিতে যে বাড়িতে থাকতো সেখান থেকে নিখোঁজও হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পড়ে তাঁকে উত্তরাখণ্ডে খুঁজে পাওয়া যায়। মাস তিনেক আগে তাঁকে সেখান থেকে বর্ধমানে আনা হয়। ঘটনার সঙ্গে সেই যুক্ত কিনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা ভাবাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দারাই গলা কাটা দেহ দু’টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিশ।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘরে খুন করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। তারপর টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে আসে আততায়ী। তারপর সেখানেই ফেলে রেখে পালায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরোদমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
