Dev vs Hiran: ভিডিয়ো: ‘গার্লফ্রেন্ড নিয়ে শুয়ে থাকবেন মলদ্বীপের জলে, আর…’, হুঙ্কার হিরণের, কী বললেন দেব?
TMC vs BJP: দেবের নাম না করে হিরণ বলেন, “উনি মলদ্বীপের জলে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে শুয়ে থাকবেন আর বন্যার জলে সুইমিং করবে ঘাটালের মানুষ।”
ঘাটাল: ‘দেবের পাড়ায়’ হিরণের ‘হুঙ্কার’। বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) বক্তব্য শুনে এমনই ক্যপশন দিচ্ছেন ঘাটালবাসী। তা কী এমন ‘হুঙ্কার’ দিলেন হিরণ? এদিন ঘাটালের একটি ক্লাব সংগঠনের কালীপুজোর অনুষ্ঠানে এসে সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের (Dev) নাম না করে একের পর এক তোপ দাগেন বিজেপি বিধায়ক। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উনি মলদ্বীপের জলে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে শুয়ে থাকবেন আর বন্যার জলে সুইমিং করবে ঘাটালের মানুষ।”
হিরণের আরও তোপ, সব রাজনৈতিক দলের নেতা ভোটের আগে ভোট চায়, ভোট হয়ে যাওয়ার পরে কলকাতার ফ্ল্যাটে থাকেন। মূলত দেবকেই কটাক্ষ করে হিরণ এদিন বক্তৃতা রাখেন। তিনি বলেন, “সাংসদ হিসাবে মাইনে নেব, সাংসদ হিসাবে ঘাটালে যা কাজ হবে, তার কাটমানিও নেব, গরু চোর এনামূল হকের কাছে কাটমানি নেব।” শুধু এখানে হিরণ থেমে থাকেননি, তাঁর আরও কটাক্ষ, “উনি শুধু মাত্র শুটিং করবেন, আর নায়িকাদের নিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াবেন। ওকে তো সিবিআই চা খায়ানোর জন্য ডেকেছিল, কফি খায়ানোর জন্য ডেকেছিল। কলকাতায় ওর চারটি ফ্লাট, আটখানা গাড়ি, সামনে পুলিশ মাঝখানে পুলিশ আর মালদীপে বান্ধবী, আর ঘাটালের মানুষ জলের তলায়”।
যদিও বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বলেন, “নো কমেন্টস।”
হিরণের এই বক্তব্যের পরই রীতিমতো শোরগোল পড়ে রাজনৈতিক মহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় হিরণের এই বক্তব্যের ভিডিয়ো। এ বিষয়ে তৃণমূল ও পাল্টা সুর চড়িয়েছে হিরণের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের নেতা তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা যেটুকু জানি হিরণেরও কলকাতায় ফ্ল্যাট আছে। এখন স্টুডিও পাড়ায় হিরণের কোন কদর নেই, তাই গাত্রদাহ হয়ে দেবের সম্বন্ধে এইসব বলছেন হিরণ।” এখনও পর্যন্ত হিরণের এই মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি দেবের।
কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “আসলে অনেকেই অনেক চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত আসতে। হয়ত ফেরত আসার দরজা খোলা না পেয়ে, কিছুটা হতাশা থেকে এই ধরনের কথা বলছেন। যিনি এই কথা বলছেন, সেগুলি গ্রহণ করার দায়িত্বও তাঁকে নিতে হবে। একজন সাংসদের নামে যখন কেউ এই ধরনের কথা বলেন, প্রমাণ করার দায়ভার তাঁর ঘাড়েই পড়ে। প্রমাণ করতে না পারলে আমি অন্তত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতাম, জানি না দেব কী করবেন। ওনারা একই জগতের মানুষ হয়ে, উনি যেভাবে কথাগুলি বললেন, এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য বিজেপির মুখেই শোভা পায়। এটি তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়, এটি বিজেপিরই সংস্কৃতি।”