AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Daspur: তিনদিনের শিশুকন্যাকে নিয়ে চলে গেল পুলিশ, ‘মা’ হওয়া হল না মণিকার

Daspur Case: দাসপুর থানার বৈকুন্ঠপুরে থাকেন সুমিত পাইন এবং স্ত্রী মনিকা পাইন। তাঁরাই বলছেন, তাঁদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করতেই এই সদ্য়জাতকে তাঁরা বাড়িতে এনেছিলেন। শিশুটির নামও রাখা হয়। আদর করে ডাকেন আরোহী বলে।

Daspur: তিনদিনের শিশুকন্যাকে নিয়ে চলে গেল পুলিশ, ‘মা’ হওয়া হল না মণিকার
চাপানউতোর এলাকায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2025 | 10:05 AM
Share

দাসপুর: বাড়িতে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে, কিন্তু ইচ্ছা আরও এক কন্যা সন্তানের। কিন্তু শারীরিক সমস্য়ার জন্য সেই সন্তানের মুখ আজও দেখা হয়নি। শেষ পর্যন্ত এক পরিচিতের কথায় পূর্ব মেদিনীপুরের এক বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে শিশু কন্যার খোঁজ। বাড়িতেও নিয়ে এলেন। তারপর থেকে একেবারে যেন উৎসবের মেজাজ। ‘মেয়ে’ বাড়িতে আসায় পাড়ার লোকজনকে মিষ্টিও খাওয়ালেন দম্পতি। কিন্তু সেই সুখ স্থায়ী হল না। জানা ছিল না আইনের গেরো। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এল বাড়িতে, এল চাইল্ড লাইনের লোকজনও। নিয়ে গেল তিনদিনের শিশু কন্যাকে। 

দাসপুর থানার বৈকুন্ঠপুরে থাকেন সুমিত পাইন এবং স্ত্রী মনিকা পাইন। তাঁরাই বলছেন, তাঁদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করতেই এই সদ্য়জাতকে তাঁরা বাড়িতে এনেছিলেন। শিশুটির নামও রাখা হয়। আদর করে ডাকেন আরোহী বলে। এমনকী বাড়িতে কন্যা সন্তান আসায় গোটা গ্রামে মিষ্টিও বিলি করেন। মনিকা বলছেন, তাঁরা যাদের থেকে এই শিশুকে নিয়েছেন তাঁদের মা-বাবা দু’জনেই চাকুরিজীবী। আগে তাঁদের ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাঁরা বয়সেও যথেষ্ট বড়। এখন আচমকা অসাবধনতার ফলে ফের গর্ভে সন্তান চলে আসে। অযাচিত হলেও তাঁরা এবার পুত্র সন্তানের আশা করেছিলেন। কিন্তু তা না হওয়াতেই তাঁরা স্বেচ্ছায় ওই কন্যা সন্তান তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন। 

যদিও জেলা চাইল্ডলাইন্ড আধিকারিক শেখ আজিজুর রহমান বলছেন, এভাবে একজন অন্যকে নিজের শিশু দিতে পারেন না। এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সরকারি গাইডলাইন মেনেই বাচ্চাকে দত্তক নিতে হয়। সেই নিয়ম মানা হয়নি। তাই তারা এই শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন। আপাতত ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই মেডিকেল টেস্ট হবে।