AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paschim Medinipur: তৃণমূল নেতার পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আদিবাসী দম্পতির, চরম শাস্তির দাবি দলের নেতৃত্বেরই

Paschim Medinipur: পুকুরে স্নান করতে নেমে বিদ্যৎস্পৃষ্ট হওয়ার কথা কেউ যেন মানতেই চান না নিথর দেহদু'টি দেখার আগে পর্যন্ত।

Paschim Medinipur: তৃণমূল নেতার পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আদিবাসী দম্পতির, চরম শাস্তির দাবি দলের নেতৃত্বেরই
এই পুকুরেই মৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2022 | 2:54 PM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাঁধনা পরবের মাঝেই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ল দুঃসংবাদটা। গ্রামের জল-জ্যান্ত দু’টো মানুষ নাকি আর নেই! কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। পুকুরে স্নান করতে নেমে বিদ্যৎস্পৃষ্ট হওয়ার কথা কেউ যেন মানতেই চান না নিথর দেহদু’টি দেখার আগে পর্যন্ত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুকুরটি স্থানীয় তৃণমূল নেতার। যিনি আবার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। মাছ চুরি রুখতেই নাকি এই ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। যদিও, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। এ দিকে, অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এমনকী তৃণমূল ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে গিয়েও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেমেছে র্যাফ।

ঘটনার প্রেক্ষাপট

পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খন্ড লাগোয়া একগুচ্ছ জেলার অন্যতম উৎসব বাঁধনা পরব। মূলত কৃষিভিত্তিক এই জনজাতি উৎসবে মেতে ওঠে বহু আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষ। সেই উৎসব চলছিল মেদিনীপুর সদর ব্লকের মোরখা গ্রামেও। সেই উৎসবের আবহের মাঝেই স্থানীয় বাসিন্দা মুঙ্গলী মণ্ডি ও তাঁর স্বামী বাপি মাণ্ডির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

জানা গিয়েছে, সাত সকালে পুকুরে স্নান করতে এসেছিলেন ওই দম্পতি। জলে নামতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁরা। অভিযোগ, পুকুরের জলে ইচ্ছা করে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁদের। এরপর কয়েকজন এলাকাবাসী ঘটনাটি দেখে খবর দেন থানায়। কিছুক্ষণ বাদেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

এ দিকে, ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা গ্রামজুড়ে। ফাঁকা মাঠের মাঝখানে পুকুরে কী করে বিদ্যুৎসংযোগ হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন একাংশ। রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে, দুর্ঘটনার পর পুকুরের মালিক তথা ওই তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেওয়ায়। আপাতত এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ছেলেটা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে এসেছিল মনে হয়। সেই সময় জলে কেউ হয়ত বিদ্যুতের তার দিয়ে রেখেছিল। আর তাতেই শক খেয়ে মারা গিয়েছে। আসলে এগুলো ইচ্ছা করে করেছে। আর যারা পুকুরে নেমেছিল তারা দেখতে পায়নি। তখনই অঘটন ঘটেছে।’ এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের কঠিণ শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যাম অজিত মাইতি বলেন, ‘দুজন আদিবাসী মানুষের মৃত্যু হয়েছে পুকুরে পড়ে। এর তীব্র বিরোধী আমরা। খুবই মর্মাহত। আমি নিজে পুলিশকে বলেছি এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের যেন কড়া শাস্তি হয়।’