Paschim Medinipur: তৃণমূল নেতার পুকুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু আদিবাসী দম্পতির, চরম শাস্তির দাবি দলের নেতৃত্বেরই
Paschim Medinipur: পুকুরে স্নান করতে নেমে বিদ্যৎস্পৃষ্ট হওয়ার কথা কেউ যেন মানতেই চান না নিথর দেহদু'টি দেখার আগে পর্যন্ত।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খন্ড লাগোয়া একগুচ্ছ জেলার অন্যতম উৎসব বাঁধনা পরব। মূলত কৃষিভিত্তিক এই জনজাতি উৎসবে মেতে ওঠে বহু আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষ। সেই উৎসব চলছিল মেদিনীপুর সদর ব্লকের মোরখা গ্রামেও। সেই উৎসবের আবহের মাঝেই স্থানীয় বাসিন্দা মুঙ্গলী মণ্ডি ও তাঁর স্বামী বাপি মাণ্ডির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, সাত সকালে পুকুরে স্নান করতে এসেছিলেন ওই দম্পতি। জলে নামতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁরা। অভিযোগ, পুকুরের জলে ইচ্ছা করে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁদের। এরপর কয়েকজন এলাকাবাসী ঘটনাটি দেখে খবর দেন থানায়। কিছুক্ষণ বাদেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
এ দিকে, ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা গ্রামজুড়ে। ফাঁকা মাঠের মাঝখানে পুকুরে কী করে বিদ্যুৎসংযোগ হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন একাংশ। রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে, দুর্ঘটনার পর পুকুরের মালিক তথা ওই তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেওয়ায়। আপাতত এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ছেলেটা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে এসেছিল মনে হয়। সেই সময় জলে কেউ হয়ত বিদ্যুতের তার দিয়ে রেখেছিল। আর তাতেই শক খেয়ে মারা গিয়েছে। আসলে এগুলো ইচ্ছা করে করেছে। আর যারা পুকুরে নেমেছিল তারা দেখতে পায়নি। তখনই অঘটন ঘটেছে।’ এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের কঠিণ শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যাম অজিত মাইতি বলেন, ‘দুজন আদিবাসী মানুষের মৃত্যু হয়েছে পুকুরে পড়ে। এর তীব্র বিরোধী আমরা। খুবই মর্মাহত। আমি নিজে পুলিশকে বলেছি এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের যেন কড়া শাস্তি হয়।’