AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School: ছেলে-মেয়ে স্কুলে ঢুকল কি না, বাড়িতে বসেই খবর পেয়ে যাবেন বাবা-মা, চালু হল এই পদ্ধতি

School: স্কুলের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান জানান, প্রায়শই অভিভাবকরা অভিযোগ করতেন তাঁদের সন্তানের স্কুলের উপস্থিতির হার কম হচ্ছে অথচ তারা প্রতিদিনই স্কুল আসছে।

School: ছেলে-মেয়ে স্কুলে ঢুকল কি না, বাড়িতে বসেই খবর পেয়ে যাবেন বাবা-মা, চালু হল এই পদ্ধতি
এভাবেই স্কুলে প্রবেশ করতে হবে পড়ুয়াদেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2025 | 11:19 AM

:

স্কুল পালিয়ে আড্ডা মারার দিন শেষ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছাত্র যদি স্কুলে না ঢোকে, তাহলে সেই খবর সহজেই পৌঁছে যাবে অভিভাবকদের কাছে। অন্য কোনও উপায়ে উপস্থিতির প্রমাণও দেওয়া যাবে না, কারণ স্কুলে প্রবেশ করার সময় ছাত্রদের মুখ দেখা গেলে, তবেই উপস্থিতির রেকর্ড হবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দশগ্রাম হাইস্কুলে চালু হল অটোমেটিক ‘অ্যাটেনডেন্স’ সিস্টেম। এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় কার্যত স্কুল পালিয়ে আড্ডা মারার দিন শেষ হয়ে গেল। এবার ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে উদ্যোগী হয়েছে হল জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বাথসাধক শিক্ষা সদনে চালু হয়েছে আধুনিক ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম। একটি মেশিনের সামনে দাঁড়াতে হবে পড়ুয়াদের। মুখটা দেখা গেলে তা অ্যাটেনডেন্স হিসেবে গণ্য হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে সেই মেসেজ পৌঁছে যাবে অভিভাবকদের কাছে।

এই ব্যবস্থায় ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলে ঢুকলেই সঙ্গে সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের মোবাইলে একটি মেসেজ পৌঁছে যাবে। ছেলে বা মেয়ে স্কুলে ঢুকেছে এই খবর পেয়ে যাবেন তাঁরা। একইভাবে স্কুল থেকে বেরনোর সময়ও সেই তথ্য অভিভাবকের মোবাইলে পৌঁছে যাবে।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই এই আধুনিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে যারা মাঝেমধ্যে স্কুল ফাঁকি দিত, এবার তাদের ক্ষেত্রে রাশ টানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই নতুন ব্যবস্থায় খুশি অভিভাবকরাও। অনেকেই বলছেন, এখন তাঁরা বাড়িতে বসেই জানতে পারেন, তাঁদের সন্তান ঠিক মতো স্কুলে গেল কি না।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান জানান, প্রায়শই অভিভাবকরা অভিযোগ করতেন তাঁদের সন্তানের স্কুলের উপস্থিতির হার কম হচ্ছে অথচ তারা প্রতিদিনই স্কুল আসছে। তাই এই ব্যবস্থা। প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করাই স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য। জেলার অন্যান্য স্কুলগুলিও এই ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে কি না, সেটাই দেখার।