Dilip Ghosh On Anubrata Mondal: ‘তৃণমূলের অনেক নেতাদের কপালে এবার দুঃখ আছে’, অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে দিলীপ
Dilip Ghosh On Anubrata Mondal: তাঁর আরও সংযোজন, "আমরা একটা জিনিস দেখলাম, টিভি-মিডিয়া, পুলিশ প্রশাসন এমনকি ইডি-সিবিআই পর্যন্ত কীরকম ব্যস্ত ছিল ওঁকে নিয়ে। তার মানে ওঁ কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও এত ব্যস্ত হতে দেখা যায়নি।"
পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘বীরভূমের বাঘ’ এখন দিল্লিতে। এবার ‘তিনি বুঝতে পারবেন দিল্লির লাড্ডু কী রকম।’ কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার তিনি খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এবার বুঝতে পারবেন দিল্লির লাড্ডু কি রকম । পশ্চিম বাংলার রাজনীতির এখন ক’দিন একটু হালকা হয়ে যাবে সাধারণ মানুষ আর কোনও খবর পাবে না।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমরা একটা জিনিস দেখলাম, টিভি-মিডিয়া, পুলিশ প্রশাসন এমনকি ইডি-সিবিআই পর্যন্ত কীরকম ব্যস্ত ছিল ওঁকে নিয়ে। তার মানে ওঁ কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও এত ব্যস্ত হতে দেখা যায়নি।”
দিলীপ বলেন, “এতদিন যে কথাগুলো পেট থেকে বের হচ্ছিল না, এবার সেগুলো বের হবে। আমার মনে হয় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অনেকের কপালে এবার দুঃখ আছে। ” প্রসঙ্গত, দিল্লিতে অনুব্রতকে জেরা করার জন্য ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্রর নেতৃত্বে চার ডিরেক্টরের দল তৈরি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আইপিএস সোনিয়া নারাং। ইডি তরফে যে দল গঠন করা হয়েছে সেই দলে রয়েছেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর বিবেক আর ওয়াদেকার, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাহুল নবীন, দলে থাকছেন সনিয়া নারাং, থাকছেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা, এছাড়াও থাকছেন সুনীল কুমার যাদব, যোগেশ শর্মা, ও সোহান কুমার শর্মার মতো তাবড় অফিসাররা।
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, রাজ্যের অ্যাডিনো ভাইরাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়েও সরকার ওতটা বিচলিত নয়, যতটা অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে। তাঁর কথায়, ” রাজ্য সরকার এতদিন কেষ্টকে বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল, বাচ্চাদের কখন বাঁচাবে। মায়েদের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টকে বাঁচাতে ব্যস্ত। এবার অন্তত বাচ্চাদের কথাগুলো ভাববার সময় পাবেন।”
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিনভর টানাপোড়েনের পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। বিচারকের বাড়ি থেকে ফিরে রাতে ভালো ঘুমিয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। বুধবার মেডিক্যালের পরেই হালকা খাবার খেয়েছেন। সকালে চা, বিস্কুট দেওয়া হয়েছে। ব্রেকফাস্ট দেওয়া হবে রুটি, সবজি। ডাক্তারদের দেওয়া ডায়েট মেনেই খাবার দেওয়া হচ্ছে কেষ্ট মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, বাংলা কাগজ পড়তে চেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।