Dilip Ghosh On Shantanu Thakur: ‘চা খাওয়ার সঙ্গে আর কী কী হয়েছে, তা ওঁরাই বলতে পারবেন’, ‘গোপন’ বৈঠক নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ
Dilip Ghosh On Shantanu Thakur: " এই বিষয়টা দেখার জন্য লোকজন আছেন, কোনও সমস্যা হলে দেখবেন তাঁরা। ওঁ আমাদের মন্ত্রী আছেন, ভালো কাজ করছেন।"
পশ্চিম মেদিনীপুর: “আমার মতো সবাই তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিটিং করেন না। কেউ গোপন মিটিং করতেই পারে। চা খাওয়ার জন্য বাড়িতে কেউ আসতেই পারেন।” সম্প্রতি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদের ‘গোপন’ বৈঠককে বিশেষ আমল দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের অশোকনগরে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তাঁদের দলে সাম্প্রতিককালে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও দলীয় নেতাদের ‘গ্রুপ-ত্যাগ’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। সম্প্রতি বিজেপি অন্দরের প্রকট হয়ে উঠেছে।
একের পর এক নেতার বিদ্রোহী হয়ে ওঠা, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সল্টলেকের বাড়িতে বৈঠক- এই সবেতেই আরও বেশি করে অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘটনা পরম্পরা যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে দলীয় অন্দরের চাপা ক্ষোভ বেরিয়ে আসছে নানা ফাটল দিয়ে!
সে প্রসঙ্গে এদিন প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “চা খাওয়ার জন্য কেউ বাড়িতে আসতেই পারেন, ডাকতেই পারেন। আমাকে তো ডাকেননি, কেন বসেছিলেন, কী কথা হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না। কী করছিলেন? তাও বলতে পারব না। ঠান্ডার সময় চা খেয়েছেন, গল্প করেছেন, আর কী কী হয়েছে, সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন। আমার মতো তো আর সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিটিং করেন না।”
বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ বিক্ষোভের তালিকায় নবতম সংযোজন বনগাঁর পদ্ম সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত নয়, সেই ক্ষোভেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁর জেলা সভাপতি নিয়োগের বিষয়েও ক্ষোভ রয়েছে সাংসদের। যদিও কেন তিনি গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি শান্তনু ঠাকুর। এরই মধ্যে বিজেপিতে থাকা মতুয়াদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডেকেছেন তিনি। মঙ্গলবারই সেই বৈঠক ছিল বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে। তাতে রাজনৈতিক চর্চা আরও তুঙ্গে ওঠে।
যদিও শান্তনু ঠাকুর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের অন্য বক্তব্য। তিনি এদিন সোজাসাপটা বললেন, ” এই বিষয়টা দেখার জন্য লোকজন আছেন, কোনও সমস্যা হলে দেখবেন তাঁরা। ওঁ আমাদের মন্ত্রী আছেন, ভালো কাজ করছেন।”
যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা আমাদের আভ্যন্তরীন বিষয়। আমরা মিটিয়ে নেব। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, আজ যারা গ্রুপ ছেড়েছে, কাল তারা বিজেপি ছাড়বে। আজ বিজেপি বাংলায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। কাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন: ‘ফার্স্ট ট্রেনেই কি শুধু করোনা?’ বনগাঁতেও লাইনে ফুলের বোঝা ফেলে শুরু বিক্ষোভ
আরও পড়ুন: BJP in West Bengal: জয়প্রকাশের বাড়িতে ‘গোপন’ বৈঠকে ‘অভিমানী’ প্রতাপ, সমীরণরা