Electrocution: ধানজমিতে ঝুলে পড়েছিল ১১ হাজার ভোল্টের হাইটেনশন তার, না দেখেই ‘মৃত্যুফাঁদে’ পা কৃষকের!

Death: সঞ্জিতই একমাত্র ওঁর পরিবারে উপার্জনশীল ছিলেন। বিদ্যুত্‍ দফতরের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের

Electrocution: ধানজমিতে ঝুলে পড়েছিল ১১ হাজার ভোল্টের হাইটেনশন তার, না দেখেই 'মৃত্যুফাঁদে' পা কৃষকের!
মৃত চাষি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 5:03 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের জমা জলেই মৃত্যুফাঁদ! ধানের জমিতে পড়েছিল হাইটেনশন লাইনের তার। মঙ্গলবার বৃষ্টি থামলে মাঠে কাজ করতে যান সঞ্জিত মাইতি নামে এক কৃষক। আর তাতেই বিপত্তি! খেয়াল না করে ভেজা তারে পা পড়তেই সব শেষ (death)! মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ওই কৃষক।  ওই ব্যক্তির এ হেন মৃত্যুতে কার্যত বিদ্যুত্‍ দফতরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চন্দ্রকোণার ২ নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রামে।

ঠিক কী হয়েছিল এদিন? মৃত সঞ্জিতের ভাইয়ের কথায়, “দাদা মাঠে কাজ করতে এসেছিল। বেশ কয়েকদিন ধরেই মাঠে ওই তারটা পড়ে রয়েছে। আমরা বারবার বিদ্যুত্‍ দফতরে ফোন করে জানিয়েছি। লাভ হয়নি। কেউ আসেনি। মঙ্গলবার সকালে দাদা যখন মাঠে আসে তখন পায়ে ১১ হাজার ভোল্টের ওই ছেড়া তা জড়িয়ে যায়। তারপরেই শক খেয়ে মারা গিয়েছে দাদা।”

অন্য এক গ্রামবাসীর কথায়, “বারবার বলেও লাভ হয়নি। তারগুলো সব নীচের দিকে। একটা তার ছিঁড়ে নীচে পড়েছিল। আমরা বিদ্যুত্‍ দফতরে বারবার বলেছি। মারা যাওয়ার পরেও কোনও অফিসার আসেনি। পুলিশেও জানিয়েছি। কিছু সিভিক পুলিশ এসেছে। কিন্তু ওতে তো কিছু হবে না। আমরা চাই, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। কারণ, সঞ্জিতই একমাত্র ওর পরিবারে উপার্জনশীল ছিল। বিদ্যুত্‍ দফতরের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু হয়েছে।”

সম্প্রতি, খড়দহতে বাড়ির মধ্যে  জমা জলে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হয় এক পরিবারের তিন সদস্যের। পাতলিয়ায় সরকারি আবাসনে নিজের স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বছর চল্লিশের রাজা দাস। টানা বৃষ্টির জেরে আবাসনের ভেতরেও জল জমে। জমা জলেই ঘরের মধ্য়েই বাড়ির কোনও কাজে বিদ্যুত্‍ সংযোগ করতে গিয়েছিলেন রাজা। সেইসময়ে তিনি বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী পৌলমী। তিনিও বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট ( Electrocution) হন। মা-বাবাকে বাঁচাতে আসেন বছর এগারোর শুভ দাস। সেসময় খাটের ওপর বসেছিল তার ছোট ভাই। কিন্তু, মা-বাবাকে বাঁচাকে গিয়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয় শুভও। বেঁচে যায় চার বছরের নাবালক।

চার বছরের ছোট ছেলেটি কী করবে বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। রাজা, পৌলমী ও শুভ তিনজনকেই ব্যারাকপুর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসকেরা তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। ছুটে আসে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। একই পরিবারের তিনজনের এভাবে মৃত্য়ুতে কার্যত চাঞ্চল্য ছড়ায়।

এক পরিবারের তিন সদস্যের বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জমা জল নিষ্কাশনে সেচ দফতর (Irrigation Department) থেকে ৬টি পাম্প ও দমকল ২টি পাম্প আনা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খড়দহ পাতলিয়ার ওই বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশী ব্যবস্থা সুসংহত করতে ২ কোটি টাকার একটি পাম্পিং প্রোজেক্ট অনুমোদন করা হয়েছে। কিছু প্রশাসনিক কারণে তা আটকে রয়েছে। সেগুলি  ঠিক হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান এক সরকারি অধিকর্তা।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘রবীন্দ্রনাথও আত্মহত্যা করতেন’, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ‘লাগামহীন নেশায়’ তোপ কেষ্টর!