ঘাটাল: ঘাটাল কেন্দ্রে শাসক-প্রধান বিরোধী, দু’দলেরই তারকা প্রার্থী। একদিকে তৃণমূলের দেব, অন্যদিকে বিজেপির হিরণ। বক্স অফিসে তাঁদের লড়াই নিয়ে তুলনা চলে না ঠিকই, তবে ভোট ময়দানে লড়াই বেশ জমজমাট। সম্প্রতি এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছে। হিরণ সরাসরি দেবকে দুষেছেন এই ঘটনা। পাল্টা এবার মুখ খুললেন দেবও। জানালেন, তাঁর সৌজন্যতাকে যেন দুর্বলতা হিসাবে না ধরা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দেব। সেখানেই তিনি বলেন, “খড়গপুরে যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। আমার পক্ষ থেকে বা আমার দলের পক্ষ থেকে যদি কোনও সাহায্য লাগে আমরা সবসময় আছি। এবার বলি যাঁরা আমাকে ১০ বছর ধরে এখানে দেখছেন, কোনওদিন কোনও হিংসার কথা শুনেছেন? আমি তো ২০১৪ থেকে একটাই কথা বলে আসছি, যদি মনে হয়, তাহলেই আমাকে ভোট দেবেন। আসলে রাজনীতি এমন একটা জায়গায় চলে গিয়েছে, যেভাবেই হোক জিততে হবে। যা ইচ্ছা বলতে হবে। আমি তো বুঝলামই না কী হল। একটা মানুষ সকালে বাজারে গেলেন, পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হল। সত্যি দুঃখজনক ব্যাপার। কিন্তু মানুষের কাছে তো সবটা পরিষ্কার।”
দেবের কথায়, এত মানুষকে দেখে হিরণ ভয় পাচ্ছেন। বিজেপির প্রার্থীর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে বলে চিৎকার করছেন। উনি বুঝে গিয়েছেন, উল্টোপাল্টা না বললে সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হবেন না। সে কারণেই এসব বলেন।
দেব আরও বলেন, “তাহলে কি ধরে নেব এখন দু’মাসের মধ্যে কোনও দুর্ঘটনা হলে সেটা দেব করছে বলা হবে? আমার সৌজন্যতা আমার দুর্বলতা নয় কিন্তু। আমি চাইলে হিরণকে বলতেও পারি। তবে ঘাটালের মানুষও বুঝতে পারছে। গত ১০ বছর ঘাটাল লোকসভাকে শান্তিপূর্ণভাবে রেখেছি। শান্তির মেসেজ দিয়েছি। চারদিনে যদি এরকম নোংরামো শুরু করে তাহলে কোনওভাবে জিতলে কী করবে মানুষ বুঝতে পারছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি হিরণবাবু আপনি শুনুন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জিততে গেলে আপনাকে ভালবাসা নিয়ে ঢুকতে হবে। ওসব মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি, সন্ত্রাসের রাজনীতি, ইডি-সিবিআইয়ের রাজনীতি নিয়ে ঢুকতে গেলে গোহারা হারবেন। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। “