AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Medinipur Physical Harassment: ‘বাড়িতে ঢুকে জোর করে আমার ছেলের প্যান্ট খোলে’, যৌন হেনস্থার অভিযোগ খোদ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে

Medinipur Physical Harassment: পুলিশের এমন আচরণ দেখে প্রতিবাদ করে তাঁর বছর সতেরোর নাবালক ছেলে। অভিযোগ, তারপরই পুলিশের সব রাগ গিয়ে পড়ে তাঁর ছেলের ওপরেই।

Medinipur Physical Harassment: 'বাড়িতে ঢুকে জোর করে আমার ছেলের প্যান্ট খোলে', যৌন হেনস্থার অভিযোগ খোদ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে
মেদিনীপুর আদালত চত্বর
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 3:09 PM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: খোদ এক আইসি-র বিরুদ্ধে নাবালককে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। যৌন হেনস্থার (Physical Harassment) পাশাপাশি নাবালকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। গোটা অভিযোগ নিয়ে মেদিনীপুর আদালতের দ্বারস্থ নিগৃহীত নাবালকের পরিবার। নিখোঁজ বলেও আদালতকে জানিয়েছে ছেলেটির পরিবার। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে মামলা গ্রহণ করেছে মেদিনীপুর (Medinipur) আদালত। জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে মেদিনীপুর শহরের একটি এলাকায় গাড়ির পার্কিং নিয়ে এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়ান এক ব্যক্তি। অভিযোগ বচসা চলাকালীন ওই ব্যক্তিকে হঠাৎ চড় মারেন পুলিশ কর্মী। পুলিশের এমন আচরণ দেখে প্রতিবাদ করে তাঁর বছর সতেরোর নাবালক ছেলে। অভিযোগ, তারপরই পুলিশের সব রাগ গিয়ে পড়ে তাঁর ছেলের ওপরেই।

নিগৃহীতের বাবার দাবি, ঘটনার পরের দিনই থানার আইসি ও পুলিশকর্মীরা পৌঁছন তাঁর বাড়িতে। সকলের সামনে যৌন হেনস্থা করা হয় ওই নাবালককে। এরপর রীতিমতো গাঁজা কেসে (NDPS) ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বারবার থানায় ডেকে হেনস্থা করার অভিযোগ এনেছে ওই নাবালকের পরিবার।

জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ মেদিনীপুর আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালকের পরিবার। অভিযোগকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে মামলা গ্রহণ করেছেন মেদিনীপুর আদালত। ঘটনার কড়া নিন্দাও করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। নিগৃহীত ব্যক্তির বক্তব্য, “পুলিশ নানাভাবে হেনস্থা করছে। আমার ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যও করতে পারছি না। দোকান বন্ধ রাখারও হুমকি দিচ্ছে। আমার ছেলেকে নানাভাবে হেনস্থা করেছে। যৌন হেনস্থা করেছে। বাড়িতে ঢুকে প্যান্ট খুলে গোপনাঙ্গে মেরেছে। গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও কথা বলছে।”

যদিও আদালতের তরফ থেকে কোন নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি বলেই জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত পুলিশকর্তা। তিনি জানিয়ে দেন, অভিযোগকারীকে চেনেনই না। পরিবারে তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, নাবালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।