Medinipur: মায়েদের ভরসা তিনিই, অবসরের পর ২ বছর বন্ধ বন্ধ্যাত্বকরণ, বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে আনা হল চিকিৎসককে

Chandrakona Hospital: গত ২০২১ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর অবসর নেন চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার। তাঁর অবসরের পরেই বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের যে গৌরব ছিল তা হারিয়ে যেতে বসে। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন।

Medinipur: মায়েদের ভরসা তিনিই, অবসরের পর ২ বছর বন্ধ বন্ধ্যাত্বকরণ, বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে আনা হল চিকিৎসককে
চন্দ্রকোণা হাসপাতালের চিকিৎসক গৌতম প্রতিহারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2024 | 12:34 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: দু’বছর বন্ধ থাকার পর হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ফিরিয়ে এনে চন্দ্রকোণা  গ্রামীণ হাসপাতালে পুনরায় চালু হল লাইগেশন তথা বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন। এই অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি অপারেশন করাতে আসা মহিলা থেকে তাঁদের পরিবার। লাইগেশন তথা বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনে একসময় রাজ্যে প্রথম স্থান করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতাল।পরপর বেশ কয়েকবছর শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। দু’বছর বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন ও চিকিৎসা। কেন এতদিন বন্ধ ছিল হাসপাতালের এই পরিষেবা?

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ছিলেন ডঃ গৌতম প্রতিহার,পাশাপাশি একটা সময় তিনি হাসপাতালে বিএমওএইচ এর দায়িত্বও সামলেছেন। চিকিৎসক গৌতম সেরা স্ত্রী রোগ চিকিৎসক হিসাবে সেরার পুরস্কারও পেয়েছিলেন বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। বন্ধ্যাত্বকরণ বিশেষজ্ঞ হিসাবেও চিকিৎসক মহলে রাজ্য জুড়ে ডঃ গৌতম প্রতিহারের পরিচিতি রয়েছে।

গত ২০২১ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর অবসর নেন চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার। তাঁর অবসরের পরেই বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশনে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের যে গৌরব ছিল তা হারিয়ে যেতে বসে। বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন। আর যার জেরে চরম সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই অপারেশনে আগ্রহী মহিলা থেকে তাঁদের পরিবারকে। চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের সঙ্গে সংযোগ কেবল চন্দ্রকোণাবাসীরই নই, আশপাশের গড়বেতা থেকে কেশপুর ব্লকের একটা বড়ো অংশের মানুষ নির্ভরশীল এই হাসপাতালের যাবতীয় চিকিৎসা পরিষেবার উপর।

বিকল্প বলতে হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, নয়তো মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এই অপারেশন বন্ধ থাকাকালীন অনেকেই হাসপাতালে এসেও ফিরে গিয়েছেন। এখন পুনরায় অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি বন্ধ্যাত্বকরণ করতে আসা মহিলা থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা এমনটাই জানান তাঁরা। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে স্ত্রীরোগের শল্য চিকিৎসক থাকলেও কেউ এই অপারেশনের ঝুঁকি নিতে চাননি।

যার জেরে বন্ধ হয় এই অপারেশন, সমস্যায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রির প্রচেষ্টায় চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন পুনরায় চালু করার জন্য গত ৫ ডিসেম্বর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডঃ গৌতম প্রতিহারকে দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুরোধে এবং চিঠি পেয়ে আমি সম্মতি দিই। এখন সপ্তাহে দু’দিন অপারেশন করা হয়। প্রতিদিন ২০-২৫ টি অপারেশন করা হয়। দু’বছর বন্ধ থাকায় অনেকের সমস্যা হচ্ছিল। আমার উপর জেলা স্বাস্থ্য দফতর আস্থা রাখায় খুশি।”

এবিষয়ে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ চিকিৎসক স্বপ্ননীল মিস্ত্রি বলেন, “অনেকদিন থেকেই হাসপাতালে লাইগেশন অপারেশন বন্ধ ছিল,অ্যানাস্থিসিস্ট না থাকায় তা চালু করা যায়নি।এটা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হয়, সিএমওএইচ দপ্তর থেকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের পূর্বতন বিএমওএইচ ডঃ গৌতম প্রতিহার তাকে দিয়ে কাজ শুরুর জন্য চিঠি পেয়ে অপারেশনের কাজ চলছে।”