Municipality Election: অথৈ জলে ভোট, ইতিমধ্যেই প্রকাশ তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীদের নাম

Municipality Vote: জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই তালিকার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কই নেই। বিরোধীদের চক্রান্ত ছাড়া এসব আর কিছুই নয়।

Municipality Election: অথৈ জলে ভোট, ইতিমধ্যেই প্রকাশ তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীদের নাম
ফের বিতর্ক। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 2:49 PM

মেদিনীপুর: ভোটের ভবিষ্যৎ কী কেউ জানে না। কোভিড পরিস্থিতিতে পুরসভাগুলিতে কবে ভোট হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও চূড়ান্তভাবে সে সিদ্ধান্তও জানায়নি। এদিকে তৃণমূলের ‘প্রার্থী তালিকা’ চলে এসেছে সামনে। মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুর এলাকায় একটি তালিকা এই মুহূর্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে ওয়ার্ড ধরে ধরে কাদের প্রার্থী হিসাবে চাওয়া হচ্ছে, তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এমন ঘটনায় স্বভাবতই তাজ্জব বিভিন্ন মহল। তবে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই তালিকার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কই নেই। বিরোধীদের চক্রান্ত ছাড়া এসব আর কিছুই নয়।

রামজীবনপুর পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডের কোনটিতে কে প্রার্থী হবেন তারই একটি তালিকা সামনে এসেছে। জোড়া ফুল আঁকা একটি কাগজে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মা মাটি মানুষ জিন্দাবাদ, মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ, অভিষেক ব্যানার্জি জিন্দাবাদ।’ এরপরই লেখা, ‘আমাদের রামজীবনপুর পৌরসভার এই পৌরভোটে আমরা কর্মীরা এই মানুষগুলোকে প্রার্থী হিসাবে চাই। আমাদের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের কাছে আমাদের অনুরোধ রামজীবনপুর পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডে এই ব্যক্তিরা প্রার্থী হলে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই জয়লাভ করব। আমাদের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করলাম।’ এর পরই ১১ জনের নাম দেওয়া হয়েছে।

এই তালিকা নিয়েই বিতর্ক।

এই পোস্টার রামজীবনপুরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মঙ্গলবার সকালে। যদিও বেলা বাড়তেই সেসব উধাও। এ বিষয়ে রামজীবনপুর পুরসভার বর্তমান প্রশাসক নির্মল চৌধুরী বলেন, “এটা বিরোধীদের কাজ। বিরোধীরা অপপ্রচার করছে আমরা নিশ্চিত। এটা কখনওই কোনও তৃণমূল কর্মী করেননি।” অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য কল্যাণ তিওয়ারি বলেন, “যতই বিরোধীরা অপপ্রচার করুক এতে লাভ নেই। আর দলের কেউ এরকম কিছু করলে তা আমরা খতিয়ে দেখে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। এসবে কোনও লাভ নেই। বাংলার উন্নয়নের ধারা জিইয়ে রেখে এবারও আমরা ব্যাপক ভোটে জিতব।”

এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাঁড়ারও একই বক্তব্য। তিনিও এই ঘটনায় বিরোধী শিবিরের ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, এবারও পুরনির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃণমূল জয়ী হবে। যদিও তৃণমূল যতই বিরোধীদের ঘাড়ে দায় ঠেলুক, বিজেপি সে দায় কোনওভাবেই নিতে নারাজ। এ বিষয়ে রামজীবনপুরের বিজেপি নেতা তথা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নন্দ নিয়োগী বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যে একটি চরম মতবিরোধ রয়েছে। কারণ ওরা সকলেই পুরসভার চেয়ারম্যান হতে চায়। তাই কর্মীরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিচ্ছে। আসলে তৃণমূলের অন্দরে কোনও শৃঙ্খলা নেই। এই ধরনের ঘটনা সে দিকই তুলে ধরছে।”

প্রসঙ্গত, রামজীবনপুর পুরসভায় আগের পুরনির্বাচনে ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি তে জয়লাভ করেছিল বাম বিজেপির জোট। ৫টি ওয়ার্ডের জয়লাভ করেছিল তৃণমূল প্রার্থীরা। যদিও পরবর্তীকালে এক জোটের কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পুরসভার বোর্ড তৈরি করে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে প্রচারে কি মমতা, অখিলেশের দূত কিরণময় নন্দ আজ কালীঘাটে