Pingla Disabled women Harassment: ‘ধর্ষণ’ শব্দটা বদলে ‘অত্যাচার’ লিখতে বাধ্য করা হয়েছে, মারাত্মক অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
Pingla Rape Case: অভিযোগ দায়ের করতে থানায় তিন ঘণ্টা বসে থাকতে হয় তরুণীকে। বিজেপির অভিযোগ, বয়ান বদল করতে বাধ্য করেছে পুলিশ।
পিংলা : একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ রাজ্যে। মাটিয়া, ইংরেজবাজার, রায়গঞ্জ, বোলপুর, কাকদ্বীপের পরপর এবার বিশেষভাবে সক্ষম এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিত্ মণ্ডল। এখানেই শেষ নয়। রাতে সালিশি সভা ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ যুবতীর পরিবারের ওপর। পুলিশ ধর্ষণের বদলে পাশবিক অত্যাচার লিখতে বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার কালুখাঁড়া গ্রামের ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিত্ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যুবতীর পরিবারের দাবি, সেই রাতেই সালিশি সভা বসেছিল। সেখানে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারকে। পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তরুণীর। ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু তাতেও বাধা! বিজেপি-র দাবি, অভিযোগকারীকে টানা তিন ঘণ্টারও বেশি বসিয়ে রাখা হয় থানায়। কেন একজন নির্যাতিতাকে এ ভাবে থানায় বসে থাকতে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, ধর্ষণ শব্দটা সরিয়ে পাশবিক অত্যাচার না লেখা পর্যন্ত অভিযোগ নেওয়া হয়নি।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সোমবার কালুখারা গ্রামে দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। রাতে খাবার পর বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যান অভিজিৎ মণ্ডল। মারধরের পাশাপাশি ধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ। পিংলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তৃণমূলের লোকেরা বাধা দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মহিলাকে। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। ওই এলাকায় একটি পুজোকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই ঘটনা উল্টো করে দেখিয়ে তৃণমূলকে দোষারোপ করা হচ্ছে।’
পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি জানিয়েছেন, এক প্রতিবন্ধী মহিলার শ্লীলতাহানির খবর পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবার বিষয়টিতে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি বলেই দাবি বিধায়কের। তিনি বলেন, বিজেপি ওই মহিলাকে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েছে। জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী পারিজান সেনগুপ্তের দাবি, প্রথমে নির্যাতিতা যে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন প্রথমে তা নেওয়া হয়নি। প্রথমে পুলিশ আধিকারিকরা পরিবারের বয়ান নেন। অনেক পরে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : TMC Clash at Behala: খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মধ্যরাতে পরপর সাত রাউন্ড চলল গুলি