AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paschim Medinipur: ছবি দেখে জুতোর দোকান ভাবছেন? সত্যটা জেনে নিন

Shoe shop at waiting room: ওই ব্যবসায়ীকে যে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা মেনে নিলেন খড়্গপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, "ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেউ বসে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।" তাই, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সামান্য টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, "যখন প্রয়োজন হবে, তখন ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকবেন ওই ব্যবসায়ী।"

Paschim Medinipur: ছবি দেখে জুতোর দোকান ভাবছেন? সত্যটা জেনে নিন
শাসক-বিরোধী তরজাও বেড়েছেImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2025 | 9:19 PM
Share

পিংলা: ছবিটা দেখে কী মনে হচ্ছে? বলবেন, এ কেমন প্রশ্ন। পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, জুতোর দোকান। একদমই। জুতোর দোকানই। কিন্তু, সত্যিই কি জুতোর দোকান? যদি বলা হয়, এটা আসলে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সরকারি জায়গায় এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করেছে পঞ্চায়েত সমিতিই। প্রশ্ন উঠবে, যাত্রী প্রতীক্ষালয় কী করে জুতোর দোকান হয়ে গেল? এও পঞ্চায়েত সমিতিরই ‘খেলা’। ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিই। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান খোলা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

খড়্গপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি বছর দশেক আগে পিংলা বিধানসভার পলস্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বাড়গোকুল এলাকায় এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি তৈরি করে। এখন সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের একপাশে তালা। আর একপাশে রয়েছে জুতোর দোকান। যথারীতি টেন্ডারের মাধ্যমে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান খোলার অনুমতি পেয়েছেন বলে দাবি জুতোর দোকানের মালিক লাল্টু হেমব্রমের। তিনি বলেন, “এক বছর আগে এখানে দোকান খুলেছি। টেন্ডারের মাধ্যমেই এই দোকান পেয়েছি। পঞ্চায়েত সমিতি থেকেই দিয়েছে। বছরে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিই এই দোকানের জন্য।” পঞ্চায়েতের কাগজও দেখালেন তিনি।

যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেন জুতোর দোকান খোলার অনুমতি দিল পঞ্চায়েত সমিতি?

ওই ব্যবসায়ীকে যে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা মেনে নিলেন খড়্গপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে কেউ বসে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।” তাই, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সামান্য টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, “যখন প্রয়োজন হবে, তখন ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকবেন ওই ব্যবসায়ী।”

তাঁর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতি যে যাত্রী প্রতীক্ষালয় ভাড়া দিয়েছেন, তা জানেন না পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি। সব শুনে বললেন, “পুলিশকে দিয়ে উঠিয়ে দেব। পঞ্চায়েত সমিতি সরকারি প্রতীক্ষালয়ে এরকম কাগজ দিতে পারে না। আমার কানে এলে উঠিয়ে দেব।”

এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিজেপি। জেলা বিজেপির নেতা অরূপ দাস বলেন, “এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তৃণমূল প্রতিষ্ঠিত চোর। সরকারি জায়গা হয় কৌশলে বিক্রি করে দেয়। নাহলে ভাড়া দিয়ে টাকা তোলে। এটা তৃণমূলের চরিত্র।”