SSC Recruitment Case: ‘অপা’র সম্পত্তির হদিশে আবারও পিংলার স্কুলে নজর ইডি-র

SSC Recruitment Case: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ইডি-র হানা। পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামে পার্থ-ঘনিষ্ঠের বিরাট স্কুল, জুলাই মাসেই বিশদে প্রকাশ্যে এনেছে TV9 বাংলা।

SSC Recruitment Case: 'অপা'র সম্পত্তির হদিশে আবারও পিংলার স্কুলে নজর ইডি-র
পিংলার সেই স্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2022 | 8:27 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: অপা কেলেঙ্কারির তথ্যতালাশ। ফের পিংলায় নজর ইডির। নোটবন্দির মধ্যেই স্কুল তৈরির ১৫ কোটির উৎস কী? আদালতে সওয়ালের পর আবারও আতসকাচে পার্থ-জামাই। ক্যাম্পাসেই কল্যাণময়ের মামা মামী, হেডমিস্ট্রেসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ইডি-র হানা। পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামে পার্থ-ঘনিষ্ঠের বিরাট স্কুল, জুলাই মাসেই বিশদে প্রকাশ্যে এনেছে TV9 বাংলা। জুলাইয়েই পিংলায় তল্লাশি করতে যায় ইডি। জিজ্ঞাসাবাদও করে। তার পর দেড় মাস যেতে না যেতেই ফের সক্রিয় ইডি। সরাসরি স্কুলেই হানা। কেন এই স্কুলে নজর জানেন?

সূত্রের খবর, বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পার্থর প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে। স্কুল তৈরি হয়েছে ‘বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’-এর সৌজন্যে। স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সেই সূত্রেই কল্যাণময়ের মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীকে ২২ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।

ইডির দাবি, কৃষ্ণচন্দ্র অ্যাক্রিসিয়াস কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর। বুধবার আদালতে স্কুলের প্রসঙ্গ তোলেন ইডি-র আইনজীবী। করা হয় বিস্ফোরক অভিযোগও। সূত্রের খবর, নোটবন্দির সময় পিংলার খিরিন্দা গ্রামে স্কুলের জমি কেনা হয়। পুরো টাকাটাই মেটানো হয় নগদে।

ইডি সূত্রে আরও খবর, গত বছর এপ্রিলে স্কুল চালু হয়। এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পার্থ নিজেও দু’বার এসেছিলেন এই স্কুলে। এ বার সেই স্কুলে ইডি-র পা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে দেবযানী মিত্রকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৪ তদন্তকারি । স্কুলে ডেকে পাঠান হয় কৃষ্ণচন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী রিনা অধিকারীকে। জনে জনে স্কুলের জমি থেকে শুরু করে মালিকানা নিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় এনফোর্সমেনট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। সঙ্গে নোট বন্দির সময়ে পাহাড় প্রমাণ নগদের উৎস কী, নিয়োগ কেলেঙ্কারির কালো টাকাই ঘুরপথে সাদা করা হয়েছে কি না? প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অভিযানে সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেও নাছোড় ইডি।