পিংলা: পিংলার নির্যাতিতার পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল সিপিএম (CPM)। মেয়েটির যাতে উন্নত চিকিৎসা হয় সেই উদ্দেশ্যে পরিবারটির হাতে টাকা তুলে দিলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। আজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুশান্ত। সঙ্গে ছিলেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। পরে আবার পিংলার উজান গ্রামে যান নিহত মহিলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্যে। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন সিপিএম নেতৃত্ব। পাশাপাশি বুধবার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়।
এদিন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “যারা গোটা রাজ্য জুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা পশু। মেয়েটির যাতে উন্নত আরও চিকিৎসা করা যায় আমরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আর এই জঙ্গলরাজের অবসান ঘটানোর জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। জঙ্গলেও নিয়ম কানুন থাকে। এটা তারও অধম। পশুদের মধ্যেও মানবিকতা থাকে। যারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে তারা পশুদেরও অধম। ”
বস্তুত, চলতি মাসের ১২ তারিখ এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের আরও অভিযোগ, রাতে নাকি বিষয়টি নিয়ে সালিশি সভা ডেকে গ্রামের মধ্যে গোটা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হতে থাকে। পরিবারের আরও অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পরের দিন দুপুরে নির্যাতিতাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানোর পর নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু তাতেও বাধা! বিজেপি-র দাবি, অভিযোগকারীকে টানা তিন ঘণ্টারও বেশি বসিয়ে রাখা হয় থানায়। কেন একজন নির্যাতিতাকে এ ভাবে থানায় বসে থাকতে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, ধর্ষণ শব্দটা সরিয়ে পাশবিক অত্যাচার না লেখা পর্যন্ত অভিযোগ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Sabooj Sathi West Bengal: কখনও ২০০ কখনও ৪০০, কিলোদরে লাগাতার ‘বিকোচ্ছে’ সবুজ সাথীর সাইকেল!