Jungle Mahals Maoist activities: রাত বাড়লেই বাড়ছে ‘ভয়’, মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়তেই লুকিয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতারা?
Paschim Medinipur: গত 8 এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বন্ধের পর থেকেই জঙ্গলমহলের চেনা ছবিটা কোথাও হলেও একটু বদলে যাচ্ছে বলে ধারণা প্রত্যেকের ।
পশ্চিম মেদিনীপুর: সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বাড়ছে মাওবাদীদের আনাগোনা। গোয়েন্দা সূত্র অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছ। যদিও, জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উপস্থিতি কোনও ভাবেই স্বীকার করতে চায়নি রাজ্যের শাসক দল। তা সে পোস্টার উদ্ধারই হোক বা বনধের প্রভাব, সব কিছুই বিরোধীদের কারসাজি বলে উল্লেখ করে এসেছে তারা। কিন্তু মাওবাদীদের আনাগোনা যে বেড়েছে তা নিজেদের কার্যকলাপে বুঝিয়ে দিচ্ছে শাসক দলের কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাত বাড়লেই স্থানীয় তৃণমূল নেতারা নাকি চলে যাচ্ছে গ্রাম ছেড়ে কোনও নিরাপদ জায়গায়। শহর লাগোয়া কোনও বাজার এলাকায়।
জেলার শালবনি ও গোয়ালতোড় ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জঙ্গলমহলের অন্তর্ভুক্ত। সালটা ২০০৮। সরকার পরিবর্তনের আগে কিছু জায়গায় মাওবাদীদের ছিল অবাধ বিচরণ। বিজেপি নেতৃত্ব সহ সাধারণের দাবি, সেই সমস্ত এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের এখন রোজনামচা সন্ধ্যার পর গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়া। গত 8 এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বন্ধের পর থেকেই জঙ্গলমহলের চেনা ছবিটা কোথাও হলেও একটু বদলে যাচ্ছে বলে ধারণা প্রত্যেকের । কোথাও একটা ভয় ভীতি কাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিজেপি সহ সাধারণ মানুষের বক্তব্য, গ্রাম-পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের দুর্নীতি, উন্নয়ন ও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি এসবই এখন শাসক দলের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও, এ সমস্ত বিষয়কে পাত্তা দিতে নারাজ প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য সনত মাহাত। পিড়াকাটা এলাকার তৃণমূল নেতা সনৎ মাহাতর বক্তব্য, পঞ্চায়েতে ব্যপক উন্নয়ন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। সুস্থ এবং স্বচ্ছভাবে পঞ্চায়েতে তৃণমূল উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে । তা সত্ত্বেও কোথাও একটা যেন ভয় বা ভীতি কাজ করছে সাধারণ মানুষের মনে।