Keshpur TMC: পার্টি অফিসেই ব্লক সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ, কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Updated on: Nov 29, 2022 | 9:23 AM

Medinipur: সোমবার বৈঠক ঘিরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। ব্লক সভাপতিকে ঘিরে ধরে পার্টি অফিসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

Keshpur TMC: পার্টি অফিসেই ব্লক সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ, কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ
জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।

Follow us on

মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার উত্তপ্ত হচ্ছে কেশপুর (Keshpur)। এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠল ব্লকস্তরের একটি বৈঠকে। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই ব্লক সভাপতিকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীদের একাংশ। সোমবার দুপুরে কেশপুর ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিসে চার অঞ্চল সভাপতি ঘোষণার জন্য বৈঠক ডাকে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে যোগ দেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যোৎ পাঁজা, কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক, যুব তৃণমূল সভাপতি আসিফ ইকবাল এবং ব্লকের সহ-সভাপতিরা। সেখানেই গোল বাঁধে বলে অভিযোগ। যদিও এখানে গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি।

সোমবার বৈঠক ঘিরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। ব্লক সভাপতিকে ঘিরে ধরে পার্টি অফিসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কেশপুরের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক বলেন, “আমি যখন বৈঠকে যাই, তার আগেই একটা গোলমাল চলছিল। গিয়ে দেখি জেলার ব্লকস্তরের নেতা, জেলার যুবনেতা সকলেই আছেন। এমনও অনেকে আছেন, যাঁদের ডাকাও হয়নি।” এসবের মধ্যে ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “কেশপুরে একটা সামান্য ইস্যু, একজন ব্লক সভাপতি মিটিং ডেকেছেন, তা নিয়ে বসা হয়েছিল। এক পক্ষ আসেনি। ব্লক সভাপতি হয়ত তা নিয়ে কোনও মতামত পোষণ করে থাকতে পারেন। কিন্তু এটা নিয়ে ইস্যু করার কোনও কারণ নেই। শনিবার আবার আমি বসব। সেখানে ঠিক করব কোথায় কে সভাপতি থাকবে, না থাকবে। একজন ব্লক সভাপতি তাঁরও কিছু বলার জায়গা আছে। সেটা মানতে হবে। কেউ যদি ভেবে থাকেন এটাকে কেন্দ্র করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মানুষকে উস্কে দেব, তাঁরা ভুল করছেন। দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। দলে সকলে সমমর্যাদার।”

এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “তৃণমূল থাকবে আর গোষ্ঠীকোন্দল থাকবে না এটা হতে পারে নাকি? তৃণমূল মানেই গোষ্ঠীবাজি, মারামারি, খুনোখুনি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সমার্থক শব্দ। কিছুদিন আগে কেশপুরের বিধায়ক বর্তমানে মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেছিলেন কোনওরকম গোষ্ঠীকোন্দল আমরা বরদাস্ত করব না। অথচ উনি নিজেই গোষ্ঠী করেন। আজ দেখলাম কেশপুরের ব্লক সভাপতিকে দলীয় কার্যালয়েই ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলের লোকেরা। বিভিন্ন ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। এই ক্ষোভ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে নয়, নিজেদের কাটমানির হিসাব আর এলাকা কার দখলে থাকবে এই নিয়ে লড়াই। তৃণমূল যতদিন থাকবে, গোষ্ঠীকোন্দলও ততদিন থাকবে।”

Latest News Updates

Related Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla