Medinipur: প্রেমিকাকে পাড়ায় ছাড়তে এসেছিল কিশোর, হঠাৎই হইহই শুরু, রাতের অন্ধকারে এরপর যা চলল…

Daspur: অভিযোগ, এরপরই নাবালিকার পরিবার রাতেই বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ।

Medinipur: প্রেমিকাকে পাড়ায় ছাড়তে এসেছিল কিশোর, হঠাৎই হইহই শুরু, রাতের অন্ধকারে এরপর যা চলল...
বাল্যবিবাহ রুখল প্রশাসন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 6:24 PM

মেদিনীপুর: প্রেম করতে বেরিয়ে এক কাণ্ড! মেয়ের পরিবারের হাতে ধরা পড়ে যায় নাবালক প্রেমিক প্রেমিকা। পাড়ায় হইহই শুরু হয়ে যায়। এরপরই মেয়ের বাড়ির লোকজন ঠিক করে, রাতেই বিয়ে দিয়ে দেবে দু’জনের। খবর দেওয়া হয় ছেলের বাড়িতেও। যদিও এরইমধ্যে জানতে পেরে হাজির হয় পুলিশ, ব্লক প্রশাসন। নাবালক-নাবালিকার বিয়ে আটকায় তারা। শনিবার ঘাটালের দাসপুরে এই ঘটনা ঘিরে হইহই পড়ে যায়। এদিন বিকেলে ওই প্রেমিক-প্রেমিকা ঘুরতে গিয়েছিল। সন্ধ্যা গড়িয়ে বাড়ি ফিরছিল। প্রেমিকই এগিয়ে দিতে আসে প্রেমিকাকে। সে সময় মেয়ের বাড়ির লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে তাদের।

অভিযোগ, এরপরই নাবালিকার পরিবার রাতেই বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। হাজির হন দাসপুর-১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও। জানা যায়, মেয়ের বয়স ১৬ বছরের কোঠায়। ছেলের বয়স ১৭। এরপরই পত্রপাঠ সেই বিয়ে খারিজ করার নির্দেশ দেন তাঁরা। যদিও নাবালিকার বাড়ির তরফে দাবি তোলা হয়, তাদের মেয়েকে নিয়ে ঘুরেফিরে যদি এখন ছেলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তা হলে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে সমস্যা হবে। এরপরই ঠিক হয়, বিবাহযোগ্য হলে বিয়ের মণ্ডপে বসবে তারা।

জয়েন্ট বিডিও আশিক বিশ্বাস বলেন, “মেয়েটার বয়স ১৬ প্লাস। ছেলেটার বয়স ১৭ প্লাস। বিয়ে করছিল ওরা। আমরা থানা এবং বিডিও অফিসের তৎপরতায় গিয়ে বিয়েটা বন্ধ করি। ওদের বোঝাই, যতদিন না পর্যন্ত মেয়ের বয়স ১৮ বছর হচ্ছে এবং ছেলের বয়স ২১ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত যাতে বিয়ে না করে। বাড়ির লোককেও বলি, যেন সরকারের নির্ধারিত বয়সের আগে কোনওভাবেই ছেলে মেয়ের বিয়ে না দেন। মুচলেকাও নিই আমরা পরিবারের কাছ থেকে। পরিবার আশ্বাস দিয়েছে, বিবাহের বয়সের আগে পর্যন্ত বাড়িতেই থাকবে।” প্রশাসনের বক্তব্য, বাল্যবিবাহ রুখতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প এনেছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী সবই রয়েছে। প্রশাসনও সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। তারপরও বেশ কিছু জায়গা থেকে এরকম অভিযোগ আসছে। যতটা সম্ভব রোখার চেষ্টা করা হচ্ছে।