Sabang Poster: ‘স্বামী ধরেছেন অন্য মহিলার হাত’, মুখ্যমন্ত্রীকে দুষে থানার সামনেই চার সন্তানকে নিয়ে ধর্নায় স্ত্রী

Sabang: পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর ঘটনা। স্বামীকে ফিরে পেতে চার পুত্র সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই প্ল্যাকার্ড হাতে সবং থানায় ধর্নায় মহিলা ।

Sabang Poster: 'স্বামী ধরেছেন অন্য মহিলার হাত', মুখ্যমন্ত্রীকে দুষে থানার সামনেই চার সন্তানকে নিয়ে ধর্নায় স্ত্রী
প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 6:47 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: কোথাও লেখা ‘অত্যাচারী পিতার শাস্তি চাই’, কোথাও আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দুষে লেখা, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সত্ত্বেও নারী অত্যাচার থামছে না।’  বছর পনেরো আগে বিয়ে হয়েছিল ওঁদের। প্রথমে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও পরে চলল না। দীর্ঘ পনেরো বছরে দম্পতির রয়েছে চার-চারটি সন্তান। আর স্ত্রী-সন্তানদের ছেড়েই ব্যক্তি চলে গিয়েছেন অন্যত্র। এখন রীতিমত ভিক্ষা করে দিন গুজরান করতে হচ্ছে ওঁদের। শেষমেশ আর না পেরে প্ল্যাকার্ড হাতেই সবং থানার সামনে ধর্নায় বসলেন মহিলা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর ঘটনা। স্বামীকে ফিরে পেতে চার পুত্র সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই প্ল্যাকার্ড হাতে সবং থানায় ধর্নায় মহিলা । স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পনেরো আগে সবং থানার তিন নম্বর দন্ডরা অঞ্চলের যুবক শেখ মহম্মদ আলি জিন্নার সঙ্গে বিয়ে হয় পিংলার কলিকাকুন্ডু এলাকার বাসিন্দা মফুজা খাতুনের। বিয়ের পর প্রথম অবস্থায় সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলেও পরে মাফুজার উপর জিন্না অত্যাচার চলাত বলে অভিযোগ।

এরপর, কয়েক মাস আগে স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে পালিয়ে আসে জিন্না। প্রথম-প্রথম বাড়িতে ঠিকঠাক টাকা পয়সাও পাঠিয়ে দিলেও শেষ দু’মাস কোনও কিছুই পাঠাচ্ছেন না তিনি এমনটাই অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রী মাফুজার অভিযোগ একদিন অন্য মহিলার সঙ্গেও স্বামীকে সবং থানারই অন্তর্গত তেমাথানি এলাকায় তিনি দেখেছেন জিন্নাকে। তারপর থেকেই সব বন্ধ। বাড়িতে টাকা-পয়সা না পাঠানোয় ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরাতে হয়েছে মাফুজাকে। এমনটাই দাবি তাঁর।

এই নিয়ে একাধিকবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর কিন্তু কাজের কাজ কিছু না হওয়ায়, শেষমেশ থানার সামনে রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ালো মাফুজা ও তাঁর চার সন্তান। এই বিষয়ে মফুজা বলেন, ‘আমাদের পনেরো বছর আগে বিয়ে হয়। হঠাৎ করে স্বামীকে অন্য মহিলার সঙ্গে দেখতে পাই। আমাদের চার সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের ছেড়েই চলে গিয়েছে ও। ওকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি পুলিশের কাছে। তাই ধর্নায় বসলাম।’