
ঘাটাল: ‘আপনি বলছেন মাসে হাজার দেবেন, ওরা মাসে এক লাখ কামায়’, ঘাটালে দাঁড়িয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলোধনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, ঘাটালের সাংসদ দেবেকেও তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করতে দেখা গেল শুভেন্দুকে। শুভেন্দুর সাফ কথা, ৩৪ বছর সিপিএম করেনি, ১৪ বছর মমতা করেনি আমি কথা দিচ্ছি মাস্টারপ্ল্যান বিজেপি করবে।
এদিন ঘাটালের দুরাবস্থা নিয়ে ঘাটাল কলেজ মোড় থেকে বিদ্যাসাগর সেতু পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন শুভেন্দু। বিদ্যাসাগর সেতুর কাছে পথসভাও করেন। সেখানেই পরিযায়ী ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে দফায় দফায় সুর চড়িয়ে বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা ফিরে আসবেন তাঁদের দ্রুত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনি কাদের বলছেন আসতে? ঘাটাল-দাসপুরের লোকেদের? মাসে এক লাখ টাকার বেসি রোজগার করে! আপনি বলছেন চলে আসুন হাজার টাকা দেব! ওরা মুম্বই, সুরাট, পুণেতে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে। ওখান থেকে রোজগার করে এনে পশ্চিমবঙ্গে জমি কিনছে, বাড়ি করছে।”
ফের একবার সুর চড়ান স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও। পথসভায় সম্মিলিত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ঘাটালের কোনও নার্সিংহোম নেয়?” এরপরই ভিন রাজ্যে কর্মরত মানুষদের কথা তুলে বলেন, “ওরা ওখানে ভাল আছে। আয়ুষ্মাণ ভারতের কার্ড নিয়ে ওরা ওখানে ভাল আছে। সব চিকিৎসা ফ্রি পাচ্ছে। আপনার কথায় কেউ টুপি পরবে না। আমি ভোট প্রচারে দিল্লিতে গিয়েছিলাম, ছত্তিসগঢ়ে গিয়েছিলাম, মুম্বই-পুণেতে গিয়েছিলাম, তাঁরা বলছে এবার ভোটে একমাস আগে থেকে যাব, ছাব্বিশের নির্বাচন মমতার বিসর্জন।” যদিও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে শুভেন্দুকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। কটাক্ষের সুরেই বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আপনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে রাখুন। আপনার খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দরকার। আপনার সেই কার্ডের দরকার শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলায় আপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে।”