AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Bardhaman: খণ্ডঘোষে ‘আক্রান্ত’ পঞ্চায়েত সদস্য, বিজেপির চক্রান্ত নাকি শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

Purba Bardhaman: পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, যিনি হামলা চালিয়েছেন, ওই ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। যদিও মীর কালোর বক্তব্য, তিনি তৃণমূল করেন। ওই এলাকায় বিজেপির কেউ নেই বলেও দাবি তাঁর।

Purba Bardhaman: খণ্ডঘোষে 'আক্রান্ত' পঞ্চায়েত সদস্য, বিজেপির চক্রান্ত নাকি শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2022 | 9:30 PM
Share

খণ্ডঘোষ: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) আগে কি ফের শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ? এবার ‘আক্রান্ত’ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শাঁখারী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মেহরুন্নেসা খাতুন। তাঁর অভিযোগ খামারে ধান তোলার কাজ দেখতে গিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় মীর কালো নামে এক ব্যক্তি। পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, ওই ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। যদিও মীর কালোর বক্তব্য, তিনি তৃণমূল করেন। ওই এলাকায় বিজেপির কেউ নেই বলেও দাবি তাঁর। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।

মেহেরুন্নেসা খাতুনের বক্তব্য, তিনি নিজেদের খামারে গিয়েছিলেন কাজ দেখতে। সেই সময় এলাকারই তিন ব্যক্তি সেখানে বসেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মীর কালোও। উপস্থিত তিনজনই বিজেপি কর্মী বলে দাবি পঞ্চায়েত সদস্যের। তিনি জানান, ওই সময় তিন ব্যক্তি তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলে তাঁকে বিঁধতে চেষ্টা করছিলেন। যদিও তাঁদের কথায় মেহেরুন্নেসা কোনও জবাব দেননি বলেই দাবি। সেই সময় ওই তিনজনের মধ্যে এক ব্যক্তি হুকিং করে ধান ঝাড়ছিলেন বলে অভিযোগ মেহরুন্নেসার এবং সেই বিষয়টি তিনি ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেন। তখন ওই তিন জনের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁকে ধাক্কা মেরে তাকে ফেলে দিয়ে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশও।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মীর কালো নামে ওই গ্রামবাসী। তাঁর দাবি, “এখানে কেউ বিজেপি করে না। আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস করি। উনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, “কে কোন দল করে, সেটা বড় কথা নয়। উনি আমাদের দলের নির্বাচিত তৃণমূল সদস্য। মানুষ ভোট দিয়ে ওনাকে জিতিয়েছেন। ওনাকে যে বা যারা মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানাব।”

বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। সেখানে তৃণমূল যারা করে, ওদের নিজেদের কাটমানি, তোলাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ওখানে কিছুদিন আগেই এক তৃণমূল নেতার চারতলার বাড়ির খবর ভাইরাল হয়েছিল। ওখানে এখন সবার লক্ষ্য ওই ধরনের চারতলা বাড়ি করবে। সেই নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ওই এলাকায় বিজেপির ভোট কোনও বুথে চারটি, কোথাও আটটি। সেখানে বিজেপির কীভাবে সাহস হবে তৃণমূলের উপর হামলা করার?”