Purba Bardhaman: ‘স্বামী নেই, বাড়িতে ছোট্ট বাচ্চা, আমার ৩ লাখ ফেরত চাই’, পোস্ট অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে চোখে জল মহিলার
Purba Bardhaman: কষ্টার্জিত টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন আমানতকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট প্রশ্ন, এতদিন ধরে টাকা জমালেও এখন কেন তা পাওয়া যাচ্ছে না? যে পাসবুক দিয়ে তাঁরা টাকা রেখেছেন তা তো পোস্ট অফিসেরই। তা এখন জাল হলে তার দায়ও নিতে হবে পোস্ট অফিসকেই।

মেমারি: লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় পোস্ট অফিসেরই এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত রসুলপুর পোস্ট অফিসে। জমা টাকা না পেয়ে পোস্ট অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ আমানতকারীদের। চলে ঘেরাও। ঘটনায় ব্য়াপক উত্তেজনা এলাকায়। অভিযুক্ত কর্মীর নাম মনোজিৎ। বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার আর তাঁর দেখা মিলছে না বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইছেন না পোস্ট অফিসের আধিকারিকরা। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁদের সাফ দাবি, যা বের হওয়ার তা প্রশাসনিক তদন্তের পরেই জানা যাবে।
যদিও কষ্টার্জিত টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন আমানতকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট প্রশ্ন, এতদিন ধরে টাকা জমালেও এখন কেন তা পাওয়া যাচ্ছে না? যে পাসবুক দিয়ে তাঁরা টাকা রেখেছেন তা তো পোস্ট অফিসেরই। তা এখন জাল হলে তার দায়ও নিতে হবে পোস্ট অফিসকেই। কাঁদতে কাঁদতেই এক আমানতকারী বলেন, তিন লাখ টাকা জমা দিয়েছি। এখন বলছে কোনও টাকা জমা পড়েনি। আমার বাড়িতে স্বামী নেই। একটা বাচ্চা মেয়ে আছে। এখ আমি কী করব! আমি আমার টাকা ফেরত চাই। ওরা সব জানে।
হাতে পাসবই তুলে আর এক আমানতকারী বলেন, “তর্কের খাতিরে যদি ধরে নিই পাসবইগুলি জাল! কিন্তু, এগুলি তো পোস্ট অফিস থেকেই দেওয়া হয়েছে। পোস্ট মাস্টার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাই তো তৈরি করেছেন। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। কোনও কথা শুনব না।”
