AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Awas Yojana Scam: বিধবা মহিলাকেও ছাড়েননি তৃণমূল নেতারা! ভাতার সরগরম আবাস যোজনায় কাটমানির অভিযোগে

Bhatar: মহিলার বক্তব্যের ভিডিয়ো ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরালও হয়েছে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক তরজাও বেঁধেছে।

Awas Yojana Scam: বিধবা মহিলাকেও ছাড়েননি তৃণমূল নেতারা! ভাতার সরগরম আবাস যোজনায় কাটমানির অভিযোগে
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 6:53 AM
Share

ভাতার: আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই এ নিয়ে ভূরিভূরি অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিক অতীতে। কোথাও যোগ্যরা ঘর পাননি, তো কোথাও পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম রয়েছে তালিকায়। পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও আবাসের ঘর নিয়ে কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। সে জেলার ভাতারের ওড়গ্রামে উঠল কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এই বিধবা মহিলা। ওই মহিলার বক্তব্যের ভিডিয়ো ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরালও হয়েছে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক তরজাও বেঁধেছে।

সদ্য ঘোষিত ভাতার ব্লক কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভাতারের ওড়গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা মীর নজরুল ইসলাম। দায়িত্ব পাওয়ার পরই প্রতিবেশী অতিরন বিবি নামের এক বিধবা মহিলা ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। তবে ওই ভিডিয়ো বিধবা মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছে, কী ভাবে তাঁর যোজনার টাকা হাতানো হয়েছে। ওই মহিলার দাবি, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আবাস তালিকায় তাঁর নাম আসে। ঘর তৈরির জন্য ধাপে ধাপে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে এসেছিল। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা মীর নজরুল ইসলাম ও ফেসিলেটার শেখ বাপ্পা মিলে খেপে খেপে তাঁর কাছে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে মহিলার অভিযোগ। যদিও দীর্ঘ তিন বছর কেটে গেলেও কোনও প্রশাসনিক দফতরে অভিযোগ দায়ের করেননি। যা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল নেতারাই নাকি বারণ করেছিলেন কাউকে এ ব্যাপারে বলতে। এখন সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে বিষয়টি সামনে আনলেন বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তৃণমূল নেতাদের দেওয়া টাকা তিনি ফেরত চান বলেও জানিয়েছেন। কম টাকা পাওয়ায় তাকে জোড়াতালি দিয়ে বাড়ি বানাতে হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

তাঁর বিরুদ্ধে ওই মহিলাার তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা মীর নজরুল ইসলাম। তাঁর দাবি, ভাতার ব্লক কমিটিতে তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁর বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি দলীয় স্তরে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই নেতা। অন্য দিকে, ফেসিলেটার শেখ বাপ্পাও বলেছেন, “এটা বানানো অভিযোগ। এত দিন পর এই অভিযোগ কেন জানি না। আমি টাকা নিই নি।”

অভিযোগ সামনে আসতেই সুড় চড়িয়েছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের চরিত্র সামনে এনেছি। তৃণমূল কতটা নির্দয় তা এই সব ঘটনা দেখিয়ে দেয়। আমরা চাইব প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক। যাতে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পুরো টাকা জনগণ পায়। তৃণমূলের নেতারা ভাগ বসাতে না পারে।” ওই মহিলার অভিযোগের গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোঙার। মহিলার বাড়ির পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও কেন ওই মহিলা এখনও অভিযোগ দায়ের করেননি, সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে।