Bardhaman: পড়াশোনায় ভাল, ছোট থেকে মেধাবী, পেশায় ইঞ্জিনিয়র ছেলেই কি না এই? মানতেই পারছেন না এলাকাবাসী
Bardhaman: তিনি আরও জানান,ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছিল আশিক। দিল্লিতে চাকরি পাওয়ার পর মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন। কিন্তু তিনি কারও সঙ্গে মিশতেন না। একাই ঘরে বসে থাকতেন। পরিবারটিও কারও সঙ্গে খুব একটা মিশত না।

বর্ধমান: বাবা-মাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন। শুধু তাই নয়, বর্ধমান থেকে এরপর বনগাঁ গিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালায় পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির সিদ্দিকি। কিন্তু কেন? পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, হুমায়ুন মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু কী বলছেন পরিবারের লোকজন?
হুমায়ুন সম্পর্কিত ভাই সৈয়দ মহম্মদ জানান, “ছোট থেকে কোনও কিছুর অভাব ছিল না হুমায়ুনের জীবনে। অনেক সম্পত্তি। পড়াশুনাতেও ভাল। আর বাইরে থেকে দেখে কিছুই বোঝা সম্ভব ছিল না। অথচ তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিল দাদা। তবে আমরা বুঝতে পারছি না ও দিল্লি না গিয়ে হঠাৎ করে বনগাঁ কেন গেল?”
এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলি জানান, “ঘটনার আগের রাতেও বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে এসেছিলেন হুমায়ুন। অন্য নামাজীরা শুনেছেন তাঁর কাছে ছুরি ছিল। সেটা সে অনলাইনে আনিয়েছিল।” তিনি জানান,এমনিতে ভাল ছেলে হিসেবেই হুমায়ুন পরিচিত। ল্যাপটপে পড়াশুনা নিয়েই থাকত। তাঁর ধারণা,বাবা তাকে কিছু জিজ্ঞেস করাতেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসে আশিক। হুমায়ুনের পিসতুতো দাদা কাজী আখতার আলি জানান, ঘটনার পরে এলাকার ছেলেরা জানিয়েছে আগের দিন আশিকের কাছে ছুরি দেখেছে তারা।
তিনি আরও জানান,ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছিল আশিক। দিল্লিতে চাকরি পাওয়ার পর মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন। কিন্তু তিনি কারও সঙ্গে মিশতেন না। একাই ঘরে বসে থাকতেন। পরিবারটিও কারও সঙ্গে খুব একটা মিশত না। নামাজে গিয়ে দেখা হতো। এই মেধাবী ছেলেটি এমন নৃশংসভাবে বাবা মাকে খুন করে দেহ বাইরে টেনে এনে ফেলবে ভাবতেও পারেননি তাঁরা।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে জোড়া খুন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সকালে রাস্তার উপর থেকে উদ্ধার হয় প্রৌঢ় দম্পতির দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়েছিল তাঁদের দেহ। তদন্তে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

