Kalna: ভারতীয়কে বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ, ভুল বুঝতে পেরে মন্তেশ্বরে ফেরাল BSF
Kalna: বছর বাহান্নর মুস্তাফা কামালের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি মুম্বইয়ে কর্মসূত্রে থাকেন। আগে একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করেন।

মন্তেশ্বর: রোজগারের তাগিদে মুম্বইয়ে থাকেন। পূর্ব বর্ধমানের মন্তশ্বরের মুস্তাফা কামাল নামে ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। পরে ভুল বুঝতে পেরে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি ফিরে তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে, তা বর্ণনা করলেন মুস্তাফা।
বছর বাহান্নর মুস্তাফা কামালের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি মুম্বইয়ে কর্মসূত্রে থাকেন। আগে একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ জুন। সেদিন মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁকে আটক করে। মুস্তাফা এবং আরও কয়েকজনকে BSF-র হাতে তুলে দেয়। BSF-এর পক্ষ থেকে মুস্তাফা কামাল সহ আরও কয়েকজনকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়। অভিযোগ, নাগরিকত্ব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তাঁদের মারধর করা হয়। এরপর ১৩ জুন তাঁদের বাংলাদেশ সীমান্ত পার করিয়ে পাঠানো হয় বলে মুস্তাফার অভিযোগ।
বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রকৃত পরিচয় যাচাই করার পর বিষয়টি সামনে আসে। প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করা হলে ১৪ জুন BSF মুস্তাফা কামাল-সহ কয়েকজনকে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ফেরত নিয়ে আসে। মঙ্গলবার ভোরে নিজের কুলুট গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন মুস্তাফা কামাল। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর মা।
তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল? মুস্তাফা বলেন, “মুম্বইয়ে গত সাত বছর ধরে ঝালমুড়ির ব্যবসা করি। গত ৯ জুন সেখানে আমার ঘরে আসে পুলিশ। আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তোমার বাড়ি কোথায়? আমি বলি, পশ্চিমবঙ্গ। তখন পুলিশ বলে, তোমার সব পরিচয়পত্র নিয়ে পুলিশ চৌকি চল। আর মোবাইলটা দাও। আমি মোবাইলটা পুলিশকে দিয়ে দিই। তারা আমাকে পুলিশ চৌকিতে নিয়ে যায়। ২ দিন পুলিশ চৌকিতে ছিলাম। পরের দিন ডাক্তারি পরীক্ষা করে। তারপর বিএসএফের শিবিরে নিয়ে যায়। বিএসএফ ফ্লাইট করে আমাদের ত্রিপুরায় নিয়ে যায়। সেখানে সীমান্ত এলাকায় একটি শিবিরে রাখে। এরপর সেখানে আমাদের বাংলাদেশের ঠিকানা জানতে চায়। যারা বলতে পারেনি, তাদের মারধর করা হয়।”
তাঁর অভিযোগ, এরপর তাঁদের বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠানো হয়। সঙ্গে ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ধরার পর আবার পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। তারপর জিরো পয়েন্টে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিএসএফের এক আধিকারিক আসেন। মুস্তাফা বলেন, “বিএসএফের ওই কর্তা বলেন, বিএসএফের হয়তো ভুল হয়েছে। তবে আমরা করিনি। কে করেছে, নিশ্চিত নই। তবে তোমরা ভারতীয়। তোমাদের নিতে এসেছি।” এরপর কোচবিহার সীমান্তে তাঁদের বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।





