AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP Hooghly: যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, প্রতিবাদ সভাতেই কেঁদে ভাসালেন BJP-র মহিলা কর্মীরা

Hooghly: এমনকী, 'সুরেশ সাউ' দূর হটাও বলে স্লোগান তুলতে থাকেন মহিলা কর্মীরা। বিজেপি নেত্রী সোনিয়া সামন্ত বলেন, "জেলা বিজেপি নেতৃত্ব সম্মান দেয় না মহিলা কর্মীদের। এর আগেও এই বিষয় রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। সভা শেষে সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোকে বিষয়টি জানাতে গেলে তিনিও আমাদের কারোর কথা না শুনে বেরিয়ে যান।"

BJP Hooghly: যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, প্রতিবাদ সভাতেই কেঁদে ভাসালেন BJP-র মহিলা কর্মীরা
কাঁদলেন মহিলারাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2025 | 11:03 PM
Share

হুগলি: মহিলাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিজেপির সভা। অথচ দলের মহিলাদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ হুগলি বিজেপি মহিলা মোর্চার। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে সভা শেষে অসম্মানে কেঁদে ভাসালেন কর্মীরা।

মঙ্গলবার বিজেপির প্রতিবাদ সভা ছিল চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সাংসদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন মহিলা মোর্চার কর্মীরা। যদিও, মহিলা কর্মীদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে বেরিয়ে যান সাংসদ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মহিলাদের নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ সভা অথচ দলে মহিলাদেরই সম্মান নেই বলে দাবি করেন বিজেপি কর্মী মিলি গুহঠাকুরতা, সবিতা মণ্ডল, হুগলি জেলা সাংগঠনিক মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সোনিয়া সামন্ত সহ মহিলা কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি হুগলি জেলা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের উপর। মহিলা বলে দলে সম্মান নেই অভিযোগ তুলে কেঁদে ফেলেন মহিলা কর্মীরা।

বিজেপি মহিলা কর্মীদের দাবি, যে কোনও কর্মসূচিতে লোক জড়ো করতে হয়। তাঁদেরই  দলের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। জেলার একাধিক কাজ সামলান মহিলা কর্মীরা। এই সভার জন্য গত কয়েকদিন ধরে একাধিক জায়গায় প্রচার চালিয়েছেন মহিলা কর্মীরাই। অথচ আজকে সভায় জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রীকেই ডাকা হয়নি সভামঞ্চে। তাঁর স্থান হয়েছে দর্শক আসনে। এর আগেও একাধিক সভা সম্মেলনে তাঁদের কর্মীদের অসম্মান করা হয় বলে অভিযোগ করেন মহিলা কর্মীরা।

এমনকী, ‘সুরেশ সাউ’ দূর হটাও বলে স্লোগান তুলতে থাকেন মহিলা কর্মীরা। বিজেপি নেত্রী সোনিয়া সামন্ত বলেন, “জেলা বিজেপি নেতৃত্ব সম্মান দেয় না মহিলা কর্মীদের। এর আগেও এই বিষয় রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। সভা শেষে সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোকে বিষয়টি জানাতে গেলে তিনিও আমাদের কারোর কথা না শুনে বেরিয়ে যান।”

বিজেপি সাংগঠনিক হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “এই সভা তিনটে সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে হয়েছে। মঞ্চের সাইজ ছোট ছিল তাই এর মধ্যে যত জনকে পেরেছি মঞ্চে তোলা হয়েছে। আমরা রাজ্য মহিলা মোর্চার একাধিক নেত্রীকে মাইকে ডেকে সভামঞ্চে তুলেছি। প্রতিবাদ সভায় সবাইকে এই সভামঞ্চে তোলা সম্ভব নয়। দুটো চোখ দিয়ে যেটুকু দেখা যায় আমরা চেষ্টা করেছি। অপরদিকে, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “এটা আমাদের সাংগঠনিক বিষয়।”

চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সম্মান করেন। দলে ৫০ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণ দিয়েছেন। তাই মঞ্চেও ৫০ শতাংশ মহিলাদের থাকার কথা। তাই বিজেপির বোনেদের বলব সঠিক জায়গায় রাজনীতি করুন।”