SIR-এর কাজের চাপে অসুস্থ BLO, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সহকর্মীরা
BLO in SIR: এসআইআরের মূল পর্ব শুরু হতেই বিএলও-র দায়িত্ব পেয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শিক্ষকরা। ভোট সংক্রান্ত ফর্ম বিলি ও সংগ্রহের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিদিন কত শতাংশ ফর্ম বিলি বা আপলোড সম্পন্ন হল তার যাবতীয় হিসাব দিতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে।

কালনা: চোখ ভর্তি জল নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এক বিএলও। এরইমধ্যে আবার এসআইআরের কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লেন আর এক বিএলও। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সহকর্মীরা। এদিন কালনা ১ নম্বর ব্লকে বিডিও অফিসে কমিশনের নির্দেশে মোবাইলের মাধ্যমে ফর্ম আপলোড করার প্রশিক্ষণ চলছিল। সেখানেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন রিঙ্কু মজুমদার নামে এক বিএলও। তিনি কালনা পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর সহকর্মীরাই তাঁকে দ্রুত কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন তাঁর সহকর্মীরা। রিঙ্কু দেবী যদিও বলছেন, “আমার সুপারভাইজার বা এইআরও-র কোনও দোষ নেই। কিন্তু ওনাদের ঊর্ধ্বতনরা খুবই চাপ দিচ্ছেন।”
এসআইআরের মূল পর্ব শুরু হতেই বিএলও-র দায়িত্ব পেয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শিক্ষকরা। ভোট সংক্রান্ত ফর্ম বিলি ও সংগ্রহের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রতিদিন কত শতাংশ ফর্ম বিলি বা আপলোড সম্পন্ন হল তার যাবতীয় হিসাব দিতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে। স্কুল সামলে এই কাজ পুরোদমে কীভাবে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সেই প্রশ্ন শুরু থেকেই উঠছে। নানা প্রান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিএলও-রা।
এদিনও সেই ছবিই দেখা গেল কালনা ১ নম্বর ব্লকে বিডিও অফিসে। কাজের চাপ নিয়ে প্রশিক্ষকদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় একাধিক বিএলও-কে। শুরু হয়ে যায় তুমুল বাগবিতণ্ডা। দেবাশিস সরকার নামে এক বিএলও তো কাঁদতেই বলে ওঠেন, “আমার দরকার নেই চাকরি। আমাকে শোকজ করুন। এই চাপ আর নেওয়া যাচ্ছে। অসুস্থ হওয়ার পরেও ফর্ম বিলি করেছি। আমার ফ্যামিলি লাইফ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” এ নিয়ে যখন বিডিও অফিসের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখনই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায় ওই মহিলা বিডিও-কে।
