AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan:  দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ, গ্রেফতার ৬ পড়ুয়া

Burdwan: অনিরুদ্ধর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে আসা পড়ুয়ারাও মারধরে জখম হন।  পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

Burdwan:  দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ, গ্রেফতার ৬ পড়ুয়া
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Pixabay
| Edited By: | Updated on: May 14, 2025 | 5:21 PM
Share

বর্ধমান:  দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ছয় পড়ুয়া। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ঘটনা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ছয় ছাত্রকে হষ্টেল ছাড়ার নির্দেশিকা জারি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই ‘ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির’ তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন পড়ুয়া এ জেসি বোস বয়েজ হস্টেলে দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে র‌্যাগিং করছিল। তাঁদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। রবিবার মধ্যরাতে তা চরমে ওঠে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিরুদ্ধ শর্মাকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর রুমমেট এবং কয়েকজন পড়ুয়া তাঁকে বাঁচাতে আসেন। তাঁদেরও মারধর করা হয়।

অনিরুদ্ধর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে আসা পড়ুয়ারাও মারধরে জখম হন।  পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন পড়ুয়াকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। মারধর করা হয়। র‌্যাগিং করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, পুরো বিষয়টি চেপে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ভূমিকায় উৎসাহিত হয় র‌্যাগিংয়ে জড়িতরা। ঘটনার দিন বিকেলেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ছয় ছাত্রকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম পীযূষ  সিং, সিদ্ধার্থ কুমার সিং, সৌরভ কুমার মিশ্রা, আনসুল, আয়ুস সোনি  এবং রাজ মিশ্রা। অভিযুক্ত  সিদ্ধার্থ কুমার সিং ওই কলেজেরই তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের নেতা।

এই ঘটনায় অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এস এফ আই। অভিযোগ পাওয়ার পরেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ, তার নিন্দা করেছে এই ছাত্র সংগঠন। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি তুলে সরব হয়েছে এসএফআই।

কলেজ হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের মতো কোনও ঘটনা ঘটলে কলেজ কর্তৃপক্ষের দায় থাকতে বলে মন্তব্য এই কলেজের তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের সভাপতি দেবরাজ সাহা। পাশাপাশি তাঁর সাফাই, সেদিন কোন র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা মদ্যপ অবস্থায় সিনিয়রদের রুমে গিয়ে ঝামেলা করে ভাঙচুর চালায়। সেখান থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এটা কোনও র‍্যাগিংয়ের ঘটনা নয় বলে সাফাই তাঁর।

যদিও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সুনীল কারফর্মা বলেন, “ঘটনা ঘটার পরের দিন আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। থানা থেকে ফোন করে আমাদের জানানো হয়। আমরা অভিযুক্ত ছাত্রদের পুলিশের কাছে যেতে বলি। এবং অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্ত ছাত্রদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোষ্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”