বেশ কয়েকজন তাবড় TMC নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ আদালতের, কেন?
TMC: অভিযোগ ছিল, শাসকদলের ক্ষমতাসীন দোষী জীবন পালকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার ফাস্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্ট বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

বর্ধমান: বেশ কয়েকজন বড় তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ বিচারকের। এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোমবার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারপার্সন ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, যুব নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ছিল, ঘটনার জেরে জীবন পালের বাবার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার ফাস্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্ট বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাকি দুজন বেকসুর খালাস হন। দোষীসাব্যস্তদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান ১ ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ-সহ আরও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা।
এই রায়ে তৃণমূল শিবিরে আলোড়ন পড়ে যায়। বিধায়ক সহ দলের নেতা,কর্মীরা আদালতে যান। সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিচারক তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস ও কমল দত্ত জানান, এই মামলায় কোনও তেমন সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তবুও কীভাবে এই রায় হল তা আশ্চর্যের। এই রায়ে তাঁরা অবাক। সাজা ঘোষণার পর হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও জানিয়ে রেখেছেন তাঁরা।





