AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan: স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর

Burdwan: আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সালে বুধনের সঙ্গে ভৈরবী আঁকুড়ের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ভৈরবীর উপর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। বাপেরবাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। তা দিতে না পারায় তাঁর উপর অত্যাচার আরও বাড়ে।

Burdwan: স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর
সাজাপ্রাপ্তImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2025 | 10:50 PM
Share

বর্ধমান: স্ত্রীকে খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই সাজা শুনিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম বুধন আঁকুড়ে।

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পূর্বতটি গ্রামে তার বাড়ি। কেসের সরকারি আইনজীবী মোল্লা মহতাবউদ্দিন জানিয়েছেন, বধূ নির্যাতনের দায়ে তিন বছর কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং খুনের কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দু’টি সাজাই একসঙ্গে চলবে। ঘটনাটি মৃতার দুই ছেলের সামনে ঘটে। তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। আদালতেও তাঁরা সাক্ষ্য দিয়ে ঘটনার কথা তুলে ধরেন। দুই ছেলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। মূলতঃ তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই সাজা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৫ সালে বুধনের সঙ্গে ভৈরবী আঁকুড়ের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ভৈরবীর উপর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। বাপেরবাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। তা দিতে না পারায় তাঁর উপর অত্যাচার আরও বাড়ে। ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ভৈরবীকে বাঁশ দিয়ে পেটায় বুধন। তাতে তিনি গুরুতর জখম হন। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ৪০। তাঁকে বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরেরদিন ভোরে তিনি সেখানে মারা যান। ঘটনার বিষয়ে মৃতার বাবা নিমাই আঁকুড়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে থানা।

৩০ অক্টোবর রাতে বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার বিশুড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হেফাজতেও নেওয়া হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সে জেলেই রয়েছে।