Purba Bardhaman: প্রবল বৃষ্টিতেই সব শেষ, নদী গিলে ফেলেছে আস্ত রাস্তা, বাড়ি গুলো থাকবে তো? চিন্তায় উড়েছে ঘুম
Purba Bardhaman: গ্রামের পাশে দিয়ে চলে গিয়েছে খড়ি নদী। আর তার পাড়েই রাস্তা, বসত বাড়ি। কিন্তু, গত কয়েকদিনের মুষলধারায় বদলে গিয়েছে পুরো ছবিটা। এলাকার লোকজন বলছেন গত চার দিন ধরে ক্রমাগত ধসে যাচ্ছে নদীর পাড়ের মাটি। সে কারণেই ভেঙে পড়েছে রাস্তা।
পূর্বস্থলী: প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নদী পাড়ে বড়সড় ধস। তাতেই ভাঙল রাস্তা। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে আচমকা ধস শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত নদী পাড়ের বসবাসকারী বাসিন্দারা। তীব্র আতঙ্কের মধ্যেই কাটছে দিন। খবর পেয়েই তৎপর হয়েছে পঞ্চায়েত। এই ছবিই দেখা যাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নশরতপুর পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর গ্রামে।
গ্রামের পাশে দিয়ে চলে গিয়েছে খড়ি নদী। আর তার পাড়েই রাস্তা, বসত বাড়ি। কিন্তু, গত কয়েকদিনের মুষলধারায় বদলে গিয়েছে পুরো ছবিটা। এলাকার লোকজন বলছেন গত চার দিন ধরে ক্রমাগত ধসে যাচ্ছে নদীর পাড়ের মাটি। সে কারণেই ভেঙে পড়েছে রাস্তা। এলাকার লোকজন বলছেন যে কোনও সময় নদীর পেটে চলে যেতে পারে বসত বাড়িগুলিও। সেই চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়ছে নদী পাড়ের প্রায় ৩০টি পরিবারের। সকলেই এখন তাকিয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে।
এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু মণ্ডল বলছেন, “যা বৃষ্টি হচ্ছে তাতেই তো ভয় আরও বাড়ছে। মনে হচ্ছে যে কোনও সময় আমাদের থাকার জায়গাও ভেসে যেতে পারে। আমরা চাই প্রশাসন এগিয়ে আসুক। আমাদের বাঁচার জন্য কোনও উপায় বাতলে দিলে বড় ভাল হয়। সবাই খুব আতঙ্কে আছি। রাস্তা তো পুরো নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। জানি না কী হবে! এরপর তো বন্যা হলে আর থাকার পরিস্থিতিই থাকবে না। ইতিমধ্যেই আমাদের এলাকার অনেক লোক ভয়ে ঘরও ছেড়েছেন।” যদিও খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে। উপ প্রধান মোবিন হোসেন মণ্ডল বলছেন, স্থানীয় সদস্যদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হবে।