
রায়না: বিয়ে থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মমতার পাশে বসে ছবি– তাঁকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই! তারপরেও তিনি সমসময় থাকেন নিজের মেজাজেই। সব বিতর্ক, সব জল্পনা, সব চাপানউতোর, সব ধরনের বাউন্সারই খেলতে পছন্দ করেন নিজের ক্যারিশ্মাতেই। এবার এক্কেবারে ছিপ হাতে নেমে পড়লেন মাছ ধরতে। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই খোশ মেজাজে মাছ ধরতে দেখা গেল দিলীপকে। তাঁর মাছ ধরা দেখতে পুকুর পাড়ে রীতিমতো ভিড়ও জমে গেল।
মঙ্গলবার ফকিরপুরে এক তন্ময় দে নামে এক অভিনেতার বাড়িতে কালীপুজো ছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এই তন্ময় অভিনয় করেছেন শ্রীময়ী, পূজারানি ঘোষের মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গে। এরমধ্যে শ্রীময়ীর সঙ্গে করেছেন ‘মিশন নারায়নপুর’, অন্যদিকে পূজারানি ঘোষের সঙ্গে করেছেন ‘অন্য রূপকথা’।
মঙ্গলবার দিলীপের সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ, বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র রাজশ্রী লাহিড়ী, বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। ছিলেন রায়না ও খণ্ডঘোষের একাধিক স্থানীয় বিজেপি নেতা-নেত্রী।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের পান্ডুয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখান থেকে মাছ ধরতে সোজা চলে গিয়েছিলেন বালিখালে। পিঁপড়ের ডিম, পাউরুটি দিয়ে তৈরি হয়েছিল টোপ। তবে সেবার খুব বড় মাছ ওঠেনি দিলীপের হাতে। তবে সেই অর্থে নিরাশ হননি। বলেছিলেন, “আমরা পুঁটি থেকে রূপচাঁদা দিয়ে শুরু করলাম। ছাব্বিশের আগে বড় মাছ ধরব। তার প্র্যাকটিস করছি।’’ মঙ্গলবার বর্ধমানে সাংবাদিকরা ভিড় করলেও বিশেষ কথা বলতে রাজি হননি দিলীপ। শুধু বললেন, “সব সময় রাজনীতি নয়”। রায়নার বিজেপি নেতারা যদিও দিলীপকে পেয়ে খুবই খুশি। তাঁরা বলছেন, উনি এখানে এসে পুজোও দিয়েছেন, ছিপও ফেলেছেন। এটা রায়নার বিজেপি কর্মীদের জন্য অনেক বড় পাওনা।