Purba Bardhaman: মৃতের পকেটে টাকার বান্ডিল, কালনা হাসপাতালে সততার নজির মর্গ কর্মীদের
Purba Bardhaman: প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কালনা এক নম্বর ব্লকের কৃষ্ণদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপাড়া গ্রামের জগদীশ মণ্ডল (৪৫) কাজে গিয়েছিলেন লিচুতলাতে। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। রাস্তাতে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
কালনা: মর্গে পাঠানো হয়েছিল দেহ। সেখানেই মৃতের পকেটে থেকে মেলে একেবারে সাত হাজার টাকা। সেই টাকা মৃতের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন মর্গের কর্মীরা। তাঁদের সততা দেখে আপ্লুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মর্গের কর্মীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার ডাঃ চন্দ্রকান্তি মাইতি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কালনা (Kalna) এক নম্বর ব্লকের কৃষ্ণদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপাড়া গ্রামের জগদীশ মণ্ডল (৪৫) কাজে গিয়েছিলেন লিচুতলাতে। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তারপরই নিয়ম মেনে তাঁর দেহ পাঠানো হয় হাসপাতালের মর্গে। মর্গে পাঠানোর পরেই তাঁরা জামাকাপড় চেক করতে গিয়ে রাজা মল্লিক ও দীপক মল্লিক নামের হাসপাতালে দুই ডোম জগদীশবাবুর পকেট থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা পান। টাকা পাওয়া মাত্রই খবর দেওয়া হয় মৃতের পরিবারের সদস্যদের। স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় টাকা। মর্গ কর্মীদের এই কাজে আপ্লুত জগদীশবাবুর পরিবারের লোকেরাও। অনেকেই বলছেন, বর্তমানে মুখোশ মানুষদের ভিড়ে এই কাজ দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যাবে।
কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ চন্দ্রকান্তি মাইতি বলেন, “ডোমেদের বিরুদ্ধে প্রায়শই নানা অভিযোগ শোনা যায়। সেখানে সচরাচর এ ধরনের ঘটনা শোনা যায় না, দেখাও যায় না। সেখানে ওদের কাজে আমরা সত্যিই গর্বিত। খুবই ভাল লাগছে। এটা বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনা। সাধুবাদ জানানোর জন্য ওদের পুরষ্কৃত করা যায় কি না কোনও শংসাপত্র দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়টা আমরা ভেবে দেখব।”