Relationship: ‘বাচ্চা ছেলেকে কোলে তুলে রেজিস্ট্রি করিয়েছি?’, যুবকের বাড়ির সামনে দুই স্ত্রী এসে হাজির
Kalna: অভিযুক্ত যুবক বলেন, "আমি একেবারেই তিনজনকে বিয়ে করিনি। ১৩ বছর সংসার করেছি। তারপর এখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমার নামে মামলা করে বাপের বাড়িতে গিয়ে বসে আছে। আরেকজন যে এসেছে, সে আমার মতো আরও ১০ জনকে ফাঁসিয়েছে। তিনটে ছেলে মারা গিয়েছে। এরপর আমাকে ফাঁসিয়েছে।"
পূর্ব বর্ধমান : প্রথম বিয়ে লুকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগ। এরপর আবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে আরও একজনের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কালনার এক যুবকের বিরুদ্ধে। এদিকে এরপরই ওই যুবকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন দুই স্ত্রী। দাবি, মর্যাদা ফেরাতে হবে। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, ধর্মডাঙার সেই যুবক বলেন, তিনি একজনের সঙ্গেই বিয়ে করেছেন। তাঁর সঙ্গে ১৩ বছরের সংসারও করেন। আচমকাই একদিন সেই স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। এরপরই আরেক মহিলা তাঁকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। ঘটনার সত্যতা যাই হোক, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় এলাকা।
ওই যুবকের যাঁর সঙ্গে ১৩ বছরের সম্পর্ক, তাঁর মায়ের কথায়, “দেখেশুনে মেয়ের এ বাড়িতে বিয়ে দিয়েছিলাম। ১৩ বছর থাকল, সন্তানও আছে। শাশুড়িটা খুব পাজি। আমার মেয়েকে রাখেনি। জামাইটাও চলে গিয়েছিল। এখন শুনছি আরেক মেয়েকে নাকি বিয়ে করেছে। তিনটে বিয়ে জামাইয়ের। ঘরের কথা কী আর বলব?”
শুক্রবার দুপুরে এলাকায় হইচই শুরু হয়। তৃতীয় স্ত্রীর দাবি, তিনি রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন। তবে বিয়ের পর প্রচুর টাকা পয়সাও দিয়েছেন ওই যুবককে। তাঁর বক্তব্য, সমস্ত টাকা ফেরাক না হলে ঘরে তুলে নিক সসম্মানে। এই ঘটনার খবর পেয়ে এসেছিলেন ধর্মডাঙার পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ মণ্ডল। তাঁর আবার বক্তব্য, রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেটে অনেক কিছু ভুল আছে। তাই এ নিয়ে কিছু যদি বলার থাকে তা আইনি পথেই যেতে হবে।
যদিও অভিযুক্ত যুবক বলেন, “একজন আমার বিবাহিত স্ত্রী। ১৩ বছর সংসার করেছি। তারপর এখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমার নামে মামলা করে বাপের বাড়িতে গিয়ে বসে আছে। আরেকজন যে এসেছে, সে আমার মতো আরও ১০ জনকে ফাঁসিয়েছে। তিনটে ছেলে মারা গিয়েছে। এরপর আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি তিনজনকে বিয়েও করিনি।” যদিও তৃতীয় স্ত্রীর আবার দাবি, “ও বলছে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছি। এর মানে কী? ও কি বাচ্চা ছেলে যে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছি? তা তো না।”