Minor Harassment: স্কুল পড়ুয়াকে শ্লীলতাহানি, বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন দাদাও, কাঠগড়ায় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতী
Purba Bardhaman: গ্রেফতার করা হয় দু'জন অভিযুক্তকে। তবে ওই পড়ুয়ার পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেননি তদন্তকারীরা।
পূর্ব বর্ধমান: স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত এলাকার শাসকদল ঘনিষ্ট ‘দাদা’রা। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একা পেয়ে তার সঙ্গে অবভ্য আচরণ করা হয়। প্রতিবাদ করলে বেধড়ক মারধর করা হয় নিগৃহীতার দাদাকেও। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শক্তিগড় থানার গাংপুর উত্তরপাড়ায়। প্রথমে ওই স্কুলছাত্রীর পরিজনদের তরফে থানার অভিযোগ জানাতে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও পরে শ্লীলতাহানি সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দু’জন অভিযুক্তকে। তবে ওই পড়ুয়ার পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেননি তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় এলাকায় মদের আসর বসায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তারা প্রত্যেকেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা শেখ এবাদুলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অভিযোগ, ওই এলাকার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা প্রতিদিন নিগৃহীতাকে কটুক্তি করত। বিগত কয়েকদিনে বাড়তে থাকে উত্ত্যক্ত করার মাত্রা। বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের তরফে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। পরিবারের দাবি, কারণ ওই দুষ্কৃতীরা শাসকদল ঘনিষ্ঠ। তাই এলাকায় বেশ প্রভাবশালী।
নিগৃহীতার পরিবারের দাবি, সোমবার ওই স্কুলছাত্রী তার দাদার সঙ্গে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখনই মাঝরাস্তায় পথ আটকায় শাসকদল ঘনিষ্ঠ ‘দাদা’রা। তাদের মধ্যেই কয়েকজন ওই কিশোরীকে জোর করে পাশের একটি মাঠের ধারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নিজেকে বাঁচাতে সে আপ্রাণ চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে যায় তার। কিন্তু তার পরেও রেহাই দেয়নি ওই দুষ্কৃতীরা। বিষয়টির প্রতিবাদ করতে গেলে ওই কিশোরীর দাদা তোমাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শেষমেষ চেঁচামেচিতে কিছু স্থানীয় লোক ছুটে আসায় ঘটনাস্থল থেকে তারা কোনওমতেই পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
গোটা বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় শক্তিগড় থানার অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করে নিগৃহীতার পরিবার। ওই কিশোরীর দাদা বলেন, ‘থানাতেও প্রথমে আমাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা বিচার চাইছি। আমার বোনের সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে যারা জড়িত প্রত্যেকের গ্রেফতারি চাই।’ এদিকে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর এই ঘটনার তদন্তে নামে শক্তিগড় থানার পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যদিও পরিবারের অভিযোগ মূল অভিযুক্তদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতা শেখ এবাদুল। তিনি ওই দুষ্কৃতীদের পরিচিত নন বলেই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Siliguri BJP Meeting: GTA নির্বাচন নিয়ে গোপন বৈঠক বিজেপির, আলাদা রাজ্যই কি সমাধান?