Siliguri BJP Meeting: GTA নির্বাচন নিয়ে গোপন বৈঠক বিজেপির, আলাদা রাজ্যই কি সমাধান?
GTA Issue: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় রাজু বিস্তার বাসভবনে বুধবার বৈঠক হয়। সাংসদের ওই বৈঠকে বিজেপি ছাড়াও হাজির ছিল জিএনএলএফ, সিপিআরএম, সুমিতি মুক্তি মোর্চা, গোর্খ্যাল্যান্ড নির্মান মোর্চা, অল ইন্ডিয়া গোর্খা লিগের নেতারা।
দার্জিলিং: জিটিএ নির্বাচনের বিরোধীতায় দিন কয়েক আগেই বৈঠক করেছিল তৃণমূলের বন্ধু ও জোটসঙ্গী বিমল গুরুঙের মোর্চা। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে। পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইতেই সেদিনের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এবার সেই বৈঠকে বিজেপি সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েও শেষে বিমল গুরুংই উপস্থিত থাকেননি। ফলত, কনভেনশনে অনুপস্থিত ছিলেন রাজু বিস্তাও। কালিম্পংয়ের বৈঠকের চারদিন কাটতে না কাটতেই এবার জিটিয়ে নির্বাচনের বিরোধীতায় গোপন বৈঠকে বসল বিজেপি। সঙ্গে ছিলেন জোটের নেতারাও।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় রাজু বিস্তার বাসভবনে বুধবার বৈঠক হয়। সাংসদদের ওই বৈঠকে বিজেপি ছাড়াও হাজির ছিল জিএনএলএফ, সিপিআরএম, সুমিতি মুক্তি মোর্চা, গোর্খ্যাল্যান্ড নির্মান মোর্চা, অল ইন্ডিয়া গোর্খা লিগের নেতারা। ছিলেন দার্জিলিং ও কার্শিয়াংয়ের দুই বিধায়ক নিরজ জিম্বা ও বি পি বাজগাই। তবে এদিনের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না রাজু।
বৈঠক শেষে জোটবদ্ধ হয়ে নেতারা জানান, ‘জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেবে না বিজেপি ও সহযোগী জিএনএলফ ও অন্য ছোট দলগুলি। পাশাপাশি ওই নির্বাচনের বিরোধীতায় পাহাড়ে আন্দোলনও করা হবে। জিটিএ নির্বাচন চায় না পাহাড়। জোড় করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় পাহাড়ের আমজনতা। তাই বাইরে অন্য কিছুই আমরা চাই না। সর্বোচ্চ স্বায়ত্বশাসনই একমাত্র বিকল্প।’
অন্যদিকে কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বি পি বাজগাই বলেন, ‘আলাদা রাজ্যই আমাদের লক্ষ। আমরা এই নির্বাচন চাই না। দিদি তার তাসের পাতা ফেলুন, আমরাও ফেলব। আগে কিছুই জানাবো না। এটুকু বলতে পারি পাহাড়ের মানুষের একমাত্র লক্ষ আলাদা রাজ্য।’ অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক নিরজ জিম্বা বলেন, ‘শ্মশানের শান্তি চাই না। বিজেপি ও পাহাড়ের একমাত্র লক্ষ হোমল্যান্ড। কেন্দ্র ত্রিপাক্ষিক আলোচনা চালাচ্ছে। সেই সময়ে এই জিটিএ নির্বাচন স্পিড ব্রেকার হয়ে দাঁড়াবে।দিদি ভেবে দেখুন কী করবেন।’
বস্তুত, গত ৪ তারিখ শনিবার কালিম্পঙে কনভেনশন হয়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধুভাবাপন্ন যে দলগুলি পাহাড়ে রয়েছে তারাও প্রত্যেকে চাইছে জিটিএ নির্বাচন হোক। একমাত্র সেই নির্বাচন চাইছিলেন না বিমল গুরুং। তাই এখন নির্বাচন নিয়ে দড়ি টানাটানি কোন দিকে পৌঁছায় সেই দেখার!