Burdwan: মহিলার প্রসব যন্ত্রণার সময় মোবাইলে মগ্ন চিকিৎসক-নার্স, নিজে থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে মেঝেতে পড়ল সদ্যোজাত

Hospital: "ডাক্তারবাবুরা এখন গরম দেখাচ্ছেন, খারাপ কথা বলছে। আমাকে বলছে, 'চুপ করে শুয়ে থাক। কথা বলিস নাকো।' আমি প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট ছটফট করছি। কাঁদছি। চিৎকার করছি। ডাক্তারবাবুরা তো চেয়ারে বসে আছেন!''

Burdwan: মহিলার প্রসব যন্ত্রণার সময় মোবাইলে মগ্ন চিকিৎসক-নার্স, নিজে থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে মেঝেতে পড়ল সদ্যোজাত
চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই মা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 9:41 PM

পূর্ব বর্ধমান: মোবাইলে ফোন নিয়ে ব্যস্ত চিকিৎসক ও নার্স। প্রসূতির আর্ত চিৎকারে তাঁরা সাড়া দেননি বলে অভিযোগ। এদিকে ডাক্তার, নার্স ছাড়াই প্রসব হওয়া সদ্যোজাত বেড থেকে আছড়ে পড়ল পাথরের মেঝেতে। তখন হুঁশ ফিরল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এখন গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি আইসিইউ-তে। চিকিৎসায় গাফিলতির চূড়ান্ত এই অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল চিকিৎসক মহলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, গত ৬ নভেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটায় পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার অর্জুন পুকুরের বাসিন্দা আমিনা সেখ প্রসব বেদনা নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। অভিযোগ, প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে তিনি চিৎকার, কান্নাকাটি করে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের বারে বারে ডাকলেও কারও সাড়া পাননি। তখন চিকিৎসক ও নার্সরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আমিনা সেখের। এদিকে ডাকাডাকি করে কেউ না আসায় প্রসব হয়ে বেড থেকে সদ্যোজাত পড়ে যায় মেঝেতে। তখন হুঁশ ফেরে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এখন সদ্যোজাত শিশুটি আইসিইউতে ভর্তি আছে বলে খবর।

আমিনা শেখের কথায়, “আমি শনিবার বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি হই। আমি যন্ত্রণায় ছটফট করছি। ডাক্তার-নার্সরা কেউ আসেনি। বাচ্চা হয়ে বেড থেকে নিচে পড়ে যায়। এখন আমার বাচ্চা গুরুতর অবস্থায় আইসিইউ-তে ভর্তি আছে।” তিনি যোগ করেন, “আমি দেখেছি, ডাক্তারবাবুরা এখন গরম দেখাচ্ছেন, খারাপ কথা বলছে। আমাকে বলছে, ‘চুপ করে শুয়ে থাক। কথা বলিস নাকো।’ আমি প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট ছটফট করছি। কাঁদছি। চিৎকার করছি। ডাক্তারবাবুরা তো চেয়ারে বসে আছেন! ডাক্তার নার্স কেউ আসছে না। বেড থেকে নিচে পড়ে গেল মার্বেলের বাচ্চাটা। তার পর বাচ্চাটা বমি করছে। বলছে, মাথার স্ক্যান হবে।” বলতে বলতে কেঁদে ওঠেন তিনি। বলেন, “বাচ্চাটা পড়ে যেতে ছুটে আসে। তার পর দু’ ঘণ্টা আমাকে বেডে রাখে। মা-কে জানাই আমার বাচ্চা হয়ে নিচে পড়ে গেছে।”

তিনি জানান, রবিবার তাঁর ছুটি দিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল। কিন্তু এখন তাঁর যন্ত্রণা হচ্ছে। এর পর থানায় অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রসূতি।

এ দিকে হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, হাসপাতালে এরকম কোনও অভিযোগ এ পর্যন্ত কেউ করেননি । অভিযোগ পেলে তদন্ত করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: TMC: ‘পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে’, তৃণমূল নেতার সালিশি সভায় চরম নির্যাতনের শিকার মা-মেয়ে!

আরও পড়ুন: Corona Update: বাংলায় একদিনের সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু বাড়ছে! কমছে না পজিটিভিটি রেটও