Purba Bardhaman: মোবাইলে উত্তেজক ছবি, ক্লাস টেনের ছাত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে ‘বিয়ে’, পুলিশ ধরল প্যারা টিচারকে
Purba Bardhaman: অভিযোগ, মাস তিনেক আগে ওই নাবালিকাকে উচ্চ শিক্ষা দেবে বলে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেয় ওই প্যারা টিচার। ছাত্রীকে বলা হয় ওই মোবাইল দিয়ে তাঁকে প্রতিদিন ভিডিও কলে ক্লাস করানো হবে। জানতে পেরে সন্দেহ বাড়ে পরিবারের।
কালনা: আরজি কর কাণ্ডে দিকে দিকে আছড়ে পড়ছে প্রতিবাদের ঢেউ। কিন্তু, তারপরেও কী বদল হচ্ছে অবস্থার? এবার ক্লাস টেনের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা কালনায়। ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলীর একটি স্কুলে প্যারা টিচার হিসাবে কর্মরত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা দায়েরও হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিনই তাঁকে কালনা আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, মাস তিনেক আগে ওই নাবালিকাকে উচ্চ শিক্ষা দেবে বলে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেয় ওই প্যারা টিচার। ছাত্রীকে বলা হয় ওই মোবাইল দিয়ে তাঁকে প্রতিদিন ভিডিও কলে ক্লাস করানো হবে। তবে মোবাইলটি যাতে কাউকে না দেখায় তার জন্য বইয়ের ভিতরে লুকিয়েও রাখতে বলে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ওই মোবাইলকে হাতিয়ার করেই তাঁদের মেয়েকে উত্তেজক ছবি পাঠাতো অভিযুক্ত শিক্ষক। কিন্তু মোবাইলের কথা জানতে পেরে যায় পরিবারের লোকজন। আর এ কথা জানতে পেরে অদ্ভুত কাণ্ড করে বসে ওই শিক্ষক।
অভিযোগ, এরপরই এলাকার একটি নির্জন জায়গায় ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠায় শিক্ষক। সেখানে তাঁকে সিঁদুরও পরিয়ে দেয়। তারপরই ‘অশালীনভাবে’ স্পর্শ করে বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। সিঁদুর পরা অবস্থাতেই মেয়েটির সঙ্গে ছবিও তোলে। এদিকে পরিবারের কাছে সব খুলে বললে পরিবারের লোকজন স্কুলে গোটা ঘটনার কথা জানায়। বৃহস্পতিবারই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয় শিক্ষকের নামে। তারপরই এদিন অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতার মা বলছেন, “স্কুল থেকে কিছু না করাতেই আমরা থানায় কেস করেছি। ২০ দিন আগে সিঁদুর পরিয়েছিল। তারপরই গায়ে হাত দিয়েছিল।”