Potato Price: আর আলু খেতে হবে না, সপ্তাহের শুরুতেই দাম শুনে পকেটে লাগবে আগুন
Potato Price: প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সভাপতি উত্তম পাল বলেন, "এবার জোগান কমবেই কিছু করার নেই। দামও অবশ্যই বাড়বে। গোটা রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডেকেছি। সুষ্ঠু আলোচনা হলে, আলোচনা মনমত হলে আমরা কর্মবিরতি তুলে নেব। লিখিতভাবে যদি প্রশাসন জানায় বর্ডারে আটকাবে না। তাহলেই একমাত্র কর্মবিরতি উঠবে। ওড়িশা, অসম, বিহার সব বর্ডারে গাড়ি গেলে ঘুরিয়ে দিচ্ছে।"
পূর্ব বর্ধমান: আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এবার দাম বাড়তে শুরু করবে আলুর। এখনও তাও নাগালে আছে, তবে নতুন সপ্তাহে আলুর দাম অনেকটাই বাড়বে বলে আগাম শুনিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবারই আলু কিনতে গেলে দরাদরি চলবে না বলে জানিয়ে দেন দোকানিরা। সাফ বলছেন, আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ডেকেছেন। দাম তো বাড়বেই।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সমিতির তরফে পূ্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি উত্তম পাল এদিন বলেন, বেআইনিভাবে আলুর গাড়ি আটকানো হচ্ছে। তাই ধর্মঘটের পথে হাঁটতে হচ্ছে। তিনি জানান, হিমঘর থেকে ১০০ বস্তা আলু বের করার পর বাছাই করে ৪০ বস্তার মত মোটা আলু বের হয়। বাকিটা ছোট কিংবা মাঝারি আলু। বড় আলুই এ রাজ্যে বিক্রি হয়।
ছোট বা মাঝারি আলু বিক্রির ক্ষেত্রে ভরসা ভিন রাজ্য। মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ডে বিক্রি হয় এই আলু। কিন্তু সেই আলু যেতেই পারছে না। সীমানায় আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বারবার প্রশাসনের কাছে গেলেও কাজ হচ্ছে না বলে দাবি প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সভাপতি উত্তম পালের।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সভাপতি উত্তম পাল বলেন, “এবার জোগান কমবেই কিছু করার নেই। দামও অবশ্যই বাড়বে। গোটা রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডেকেছি। সুষ্ঠু আলোচনা হলে, আলোচনা মনমত হলে আমরা কর্মবিরতি তুলে নেব। লিখিতভাবে যদি প্রশাসন জানায় বর্ডারে আটকাবে না। তাহলেই একমাত্র কর্মবিরতি উঠবে। ওড়িশা, অসম, বিহার সব বর্ডারে গাড়ি গেলে ঘুরিয়ে দিচ্ছে।”
অর্থাৎ এবার যে আলু মহার্ঘ হবে, সেই আশঙ্কা থাকছেই। জেলার হিমঘরগুলিতেও এখন তালা ঝুলছে। হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না। ফলে বাজারে আলুর জোগান কমবে আর সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিয়কুমার দাস জানান, তিনি বাইরে আছেন। সোমবার এ নিয়ে আলোচনা হবে।
তবে সমিতির কোষাধ্যক্ষ বিষ্ণু দত্তের কথায়, “সমঝোতার জন্য সবসময়ই আমরা প্রস্তুত। ২০ তারিখ জেলাশাসক ডেকেছিলেন। ৩ টাকা দাম কমাতেও বলেন। কিন্তু আমরা কীভাবে কমাব? এক বস্তা আলু যখন আসে ৫০ কেজি ওজন হয় বস্তার। বেরোনোর সময় ৪৫ ৪৭ কেজি হয়ে যায়। সবটা তো বুঝতে হবে।”