Purbo Burdwan: অস্বাভাবিক মৃত্যুর তড়িঘড়ি দেহ কবর দেওয়া হয়, কবর খুঁড়ে বার করা হল বধূর দেহ
Purbo Burdwan: মন্তেশ্বর থেকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শবনমের। অভিযোগ, এরপরই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করে তড়িঘড়ি গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে মৃতের বাপেরবাড়ির লোকজনের।
পূর্ব বর্ধমান: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল গৃহবধূর দেহ। পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট এলাকায়। রবিবার সকালে পুলিশের তৎপরতায় মৃতদেহ তোলা হলপূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নাদনঘাট পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়ঢেক এলাকার ঘটনা। মৃত ওই গৃহবধূর নাম শবনম খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানার সিদ্ধড়িয়া এলাকার বাসিন্দা শবনমের সঙ্গে বড়ঢেক এলাকার বছর চারেক আগে ফিরোজউদ্দিন মোল্লার বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূর ওপর নানারকমভাবে অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ তারিখ গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাপেরবাড়িতে খবর দেয়া হয়, শবনম ফ্যান চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। তাঁকে মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মন্তেশ্বর থেকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শবনমের। অভিযোগ, এরপরই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করে তড়িঘড়ি গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে মৃতের বাপেরবাড়ির লোকজনের।
শবনমের মৃত্যুর কিছুদিন পর তাঁর বাপেরবাড়ির সদস্য়রা শ্বশুরবাড়িতে এই নিয়ে কথা বলতে যান। কিন্তু অভিযোগ, সেদিন তাঁদের মারধর করে বার করে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে শবনমের বাবা শেখ নাসির আলি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মেয়ের কান নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, একই সঙ্গে মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এমনকি কবর দেওয়ার পরের দিন কবর থেকে মৃতদেহ গায়েব করারও পরিকল্পনা করেছিল তারা।”
থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা আদালতে ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দেহ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হবে দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্ত। যদিও অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পলাতক।