Raju Jha Murder Case: রাজু ঝা খুনে গ্যাংস্টারকে দীর্ঘ জেরা সিটের! কে সেই ব্যক্তি?

শক্তিগড়: সূত্র মিলছে অনেক, কিন্তু ধরা পড়ছে না কেউ। ১৩ দিন পরেও কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। উঠে এসেছে একাধিক নাম। সে আব্দুল লতিফই হোক কিংবা অন্য কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খাড়গা কিংবা তাঁর শ্যালক শ্যাম বাহাদুর। এবার রাজু ঝা খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদশের গ্যাংস্টার আমান সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিট। বুধবার হাজারিবাগ কেন্দ্রীয় জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিটের আধিকারিকরা। হাজারিবাগ কেন্দ্রীয় জেলে আলাদা কক্ষে আমান সিংকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যাচ্ছে, রাজু ঝা খুনের সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, কোনও উত্তর দেয়নি আমন সিং।পাশাপাশি আমান সিং-এর কাছে ধানবাদের কুখ্যাত গ্যাংস্টার প্রিন্স খানের সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আসলে তদন্তকারীরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছেন, আততায়ীদের গাড়ির শেষ লোকেশন পাওয়া গিয়েছে বিহারের ভাগলপুরে। রাজুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে নীল এসইউভি গাড়িতে শক্তিগড় পর্যন্ত যায় আততায়ীরা। পরে সাদা গাড়িতে চম্পট দেয় আততায়ীরা। পুলিশ বিভিন্ন টোল-প্লাজার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। ঝাড়খন্ড এবং বিহারের টোল প্লাজার গুলির ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিশ। ভাগলপুরের একটি টোল প্লাজায় শেষবারের মতো গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

ফলে আততায়ীরা যে ভিন রাজ্যেই রয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তাই বাংলার বাইরে অন্যান্য় রাজ্যগুলিতেও চলছে তল্লাশি। পাশ্ববর্তী রাজ্য বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডে আততায়ীদের আত্মগোপন করে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে তদন্তকারীরা এটাও জানতে পেরেছেন, রাজুকে খুনের পরিকল্পনা জেলে বসেও করতে পারে গ্যাংস্টাররা। তারপর সুপারি কিলার লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তথ্যের মালা সাজিয়ে একটা প্রেক্ষাপট সাজিয়ে ফেলেছেন তদন্তকারীরা। বাকি কেবল চেইনের মাথায় পৌঁছনো।